সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি

Shakil Shahriar
নভেম্বর ১৩, ২০২১ ২:২০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিট প্রদানের ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয় উদারতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহিষ্ণুতা। আমাদের দীর্ঘকালের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য আমাদের ধারণ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়ারির (বিচার বিভাগ) অবস্থান জিরো টলারেন্স। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ধর্মীয় বক্তা পুজ্যপাদ স্বামী পুর্ণতাত্মানন্দজী মহারাজ, হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, সমিতির সহ-সভাপতি মুহম্মদ শফিক উল্যাহ, বিজয়া পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক জয়া ভট্টাচার্য।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, এদেশ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে নাকি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে তা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পার্মানেন্টলি সেটেল হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের সংবিধানে মাইনরিটি বলে কোনো শব্দ নেই। আসুন আমরা সবাই এটা ভাবি যে, আমরা বাঙালি ও বাংলাদেশের নাগরিক। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বহমানা থাকবে ততদিন এদেশে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিতে পারবে না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। তিনি যেই হোন না কেন, তাকে নূন্যতম ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করতে পারে, সেটাও সফল হবে না।
সভাপতির বক্তৃতায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবারও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা সবাই এটাকে প্রতিহত করবো। এ বিষয়ে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ রয়েছে। এ ধরণের কোনো মামলায় আমরা কাউকে ছাড় দেইনি।
৪।ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল ডাবল রেললাইন করা হবে
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ডাবল রেললাইন করা হবে খুব শিগগিরই। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ শেষ হওয়ার আগেই এ কাজ ধরা হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ শেষ হবে, আর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের সব রেললাইন ডাবল করা হবে; যাতে দুই লাইনে রেল চলাচল করতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম কাজের উদ্বোধনকালে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের এখন রেলের প্রতি বেশি আগ্রহ; যাতে করে রেলে বেশি যাতায়াত করে সেদিকে নজর দেওয়া হবে। তবে ট্রেনে কেউ পাথর নিক্ষেপ যেন না করে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহবানও জানান তিনি।
এ সময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ।