মঙ্গলবার ডিএসই টাওয়ারে ‘রিস্ক বেইজড ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রিপোর্টিং সফটওয়্যার অব ডিএসই এন্ড সিএসই’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: ভোরের কাগজ
বর্তমান কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম ভিত্তি পুঁজিবাজার বলে জানিয়েছেন বিএসইসি’র কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। এ সময় তিনি বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আগামীতে এ বাজারে আরো নতুন নতুন সেবা উদ্বাধনের মাধ্যমে পুজিঁবাজারকে শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন, নতুন নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করলে চলবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (রিস্ক বেইজড ক্যাপিটাল এডিকোয়েসি) রুলস, ২০১৯ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রবর্তন করে যা ২০১৯ সালে ২৯মে গেজেটে প্রকাশিত হয়। মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমসহ কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ব্যতিত কমিশনের অধীনে রেজিস্টার্ড সব মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এ রুলস প্রযোজ্য। এ রুলসের অধীনের প্রয়োজনীয় প্রতিবেদনগুলো শুধুমাত্র সফটওয়্যারের মাধ্যমে জমা দেয়া যাবে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) অনলাইননের মাধ্যমে ডিএসই টাওয়ারে ‘রিস্ক বেইজড ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রিপোর্টিং সফটওয়্যার অব ডিএসই এন্ড সিএসই’র উদ্বোধন করা হয়। বিএসইসি’র কমিশনার মো. explained around larger feature about fruit blast spielen. আব্দুল হালিম প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত থেকে সফটওয়্যারটির উদ্বোধন করেন।
ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত ও প্রসংশিত। বর্তমান কমিশন বিগত এক বছরে অনেক কাজ করেছে। কমিশন যখন দায়িত্ব নিয়েছে তখন মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল জিডিপির ১১শতাংশ, বর্তমানে তা ১৭শতাংশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা তা ৫০শতাংশে এ উন্নীত করতে পারব। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, বর্তমান কমিশন গঠনের পর বিগত বছর হতে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সুকুক্ বা ইসলামিক বন্ড চালু করার জন্য ইতিমধ্যে কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিএসইসি দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নিয়ে সফটওয়্যারটি তৈরি একটি অসাধারণ বিষয়। বিএসইসি এ রকম আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার আশা করছে। তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করি, সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের মনিটরিং ও কমপ্লায়েন্স আরো জোরদার হবে। এর ফলে পুঁজিবাজার আরো সুন্দরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে ডিএসই ও সিএসই উভয়েই নিয়মের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিবেদন সংগ্রহের জন্য তাদের নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করেছে। তিনি আরো বলেন, বিএসইসি অথবা এক্সচেঞ্জ এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি ক্লিকের মাধ্যমে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা মূল্যায়ন করতে পারবে।
পরবর্তীতে সফটওয়্যারটি সম্পর্কে মুখবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিম এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লি. এর হেড অব ইনফরমেশন সিস্টেম হাসনাইন বারী। ডিএসই’র সফটওয়্যারটির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া ও সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দ মো. রাকিব উদ্দিন এবং সিএসই’র সফটওয়্যারটির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন সিএসই’র ম্যানেজার আদনান আব্দুর রাকিব।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট শরিফ আনোয়ার হোসেন, সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, এসিএস।