বিএসএমএমইউতে নতুন আইসিইউ ইউনিট

admin
এপ্রিল ২৫, ২০২১ ১২:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের ১০ম তলায় ১০ বেডের নতুন আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন। এখানে নন কোভিড রোগীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন, অন্যদিকে কেবিন ব্লকের ৮তম তলায় অবস্থিত নন কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিটে করোনা আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হবেন। অর্থাৎ নন কোভিড রোগীদের জন্য নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুর ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসিইউর সংখ্যা আরো ১০টি বৃদ্ধি পেলো। এছাড়া কেবিন ব্লকের ৭ম তলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০ বেডের আইসিইউ চালু রয়েছে। নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউর মোট বেড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪০টিতে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউসহ করোনা রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা হলো ৩৫০টি।
এ সময় প্রো-ভিসি ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন, এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. একেএম আখতারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আগের তুলনায় করোনা ভাইরাসের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রা বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাবল ভ্যারিয়েন্টে মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। ভারতের এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। তাই ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সেজন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এদিকে ভিসি’র কার্যালয়ে গতকাল হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এর সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই সভায় ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ‘জিরো ভাইরাস এবং এন্টিজেন টেস্ট’ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।