বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক- এটা আজ বিশ্ব স্বীকৃত

admin
মার্চ ২৩, ২০২১ ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

• আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী
• করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলার আহ্বান
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক- এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উল্লেখ করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার নামটি পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। সেখানে মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যেখানে মিথ্যা ঘোষক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল, আজ আন্তর্জাতিকভাবেও দেখেন সেই ঘোষকের আর কোন ঠিকানা থাকবে না। কারণ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আজকে নিজেরাই প্রচার করছেন এবং অনেক রেজুলেশনও হচ্ছে যে, ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আজকে বঙ্গবন্ধুর নাম আর কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।
রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম শুভ জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যে কর্মসূচী নিয়েছিলেন সেটা আজ প্রমাণিত যে সেটা অনুসরণ করলেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। আমরা সেই কর্মসূচীই অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মীর্জা আজম এমপি, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে সভা পরিচালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি।
১৫ আগস্ট রক্তাক্ত ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা পর্যন্ত মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হয়েছিল। স্বাধীনতার নায়ক দাঁড় করানো হলো। ইতিহাস পাল্টে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হলো, তার (বঙ্গবন্ধু) নামটাও নেয়া যাবে না। মুক্তিযোদ্ধারা ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি’- এ কথাটা বলারও সাহস পায়নি। তারা সেই সাহস হারিয়ে ফেলেছিলেন। কারণ তখন এটা বললেই নির্যাতন করা হতো। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলদারদের চাটুকারিতা করেছে, তারাই সবকিছু বলতে পারত! তাদের জন্য যেন সবকিছু বলার একটা অধিকার ছিল। এমনকি সত্যকে সত্য বলা নিষিদ্ধ ছিল। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণের মধ্য দিয়ে অসহযোগ আন্দোলনকে সশস্ত্র বিপ্লবে রূপ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই ভাষণটি পর্যন্ত বাজানো নিষিদ্ধ ছিল।
জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ডের বর্বরতার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগজড়িত কণ্ঠে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, সেই দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, অথচ সেই স্বাধীন দেশেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু হত্যা করা না, হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটাও মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। এইভাবে তাকে হত্যা করা হবে, এটি বোধহয় তিনি (বঙ্গবন্ধু) কখনও কল্পনাও করতে পারেননি, বিশ্বাসও করতে পারেননি। তার কারণ ছিল বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে ভালবেসেছিলেন, বিশ্বাস করতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি এখন প্রমাণ হয়েছে যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত উন্নয়নের পথেই তার সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইংরেজরা এদেশের মানুষের আত্মগরিমা ধ্বংস করে দরিদ্র্য করে দিয়ে গেছে। জাতির পিতা এসে এদেশের মানুষকে আত্মমর্যাদাশীল করতে, স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী করতে চেয়েছিলেন। আমরাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছি। তিনি যা করেছেন, সেগুলোই করে যাচ্ছি। ’৭৫ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত একটি কালো অধ্যায় ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ আরেকটি কালো অধ্যায়। আমরা সেখান থেকে উত্তরণ করেছি। জাতির পিতার দেখানো পথে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ১৯৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করছি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেলেও তিনি এই সময়ের মধ্যে যেই কাজগুলো করে গেছেন শুধু সেগুলোকে অনুসরণ করলেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আজকে তা প্রমাণিত সত্য, কারণ আমরা যাই করছি- যে পথ জাতির পিতা দেখিয়ে গেছেন সেই পথ ধরেই আমরা এগোচ্ছি। তিনি যা যা করতে চেয়েছিলেন আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সেই কাজগুলোকেই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে। আর তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ।
এ সময় দেশের জনগণের পাশাপাশি নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ ও আমার দলের নেতাকর্মীদের কাছেও কৃতজ্ঞ। কারণ তারা ভোট দিয়েছে বলেই আমরা আজ ক্ষমতায়। যার কারণে ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করছি। এ উপলক্ষে বহু দেশী-বিদেশী অতিথি, রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান এসেছেন, আসছেন। অনেকেই বার্তা পাঠাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হতো, তাহলে আমরা বাঙালীরা জাতি হিসেবে কখনও বিশ্বে মর্যাদা পেতাম না। সম্মান পেতাম না, একটা রাষ্ট্রও পেতাম না। বঙ্গবন্ধু যে সংগ্রাম চালিয়েছেন তাতে অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে ঐকবদ্ধ করে তাদের স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। অথচ ’৭৫ এর পরে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামটি পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নাম আর আজকে কেউ মুছতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ জাতির পিতাই প্রথম এদেশে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। সেদিনই প্রথম ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালন করা হয়। এই মার্চ মাসটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেননা এই মাসেই বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করেন, যেটি বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন আর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করছি এবং এ সময় এটুকুই বলবো জাতির পিতা এই দেশটিকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন এবং তার লক্ষ্য ছিল এদেশের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন। কেননা এ মাটির সন্তান এর আগে কখনই এদেশের শাসন ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তিনি বলেন, ইংরেজরা যথন ক্ষমতায় এসেছে তখন যেন এদেশের মানুষের মেরুদ- ভেঙ্গে দিয়েছিল। কারণ এদেশের মানুষ নিজেরা ফসল ফলাত নিজেরা খেত কারও তোয়াক্কা করতোনা, ইংরেজরা ক্ষমতায় এসেই এদেশের মানুষের এই আত্মগরিমাটা ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সেখান থেকে বিশ্বের বুকে যেন দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে চলতে পারে সেজন্য জাতির পিতা এই দেশকে স্বাধীন করে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম এই মাটিতে হয়েছিল বলেই তার মতো একজন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমরা পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা ও লাল-সবুজের পতাকা পেতাম না, বিশ্বের বুকে স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছোট বেলা থেকেই খুব সংবেদনশীল ছিলেন, অত্যন্ত মানবদরদী ছিলেন। তার কোন অহমিকা ছিল না। তিনি সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে পছন্দ করতেন। মানুষের পাশে থাকতেন। দরিদ্র্য ছেলে- মেয়েদের পড়াশোনা থেকে শুরু সর্বক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা করতেন। দুর্ভিক্ষ পীড়িত অবস্থা যখন সৃষ্টি হল সেই মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। নিজেদের গোলা খুলে দিয়ে ধান বিলিয়ে দেন গরিবের মাঝে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কারো কাছে কখনও মাথা নত করেননি। আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর ছোট বেলা নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন। আমি তাকে (শেখ রেহানা) বলব, আরও অনেক কথা বলতে হবে। আমরা মাত্র দু’বোন বেঁচে আছি। যতটুকু আমাদের দু’বোনের স্মৃতিতে রয়েছে, জনগণকে তা জানানো উচিত। নতুন প্রজন্মেরও জানা উচিত।
দলের নেতাকর্মীদের সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একদম তৃণমূলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান স্ব স্ব সংগঠনের ব্যানারে পালনের নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে হবে। ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী শেষ হবে। পরে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেকটা সহযোগী সংগঠনকে নিজস্ব কর্মসূচী নিতে হবে। সেটি ঢাকা বা মহানগর পর্যায়ে শুধু নয়, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত করতে হবে। শুধু আলোচনা, সভা- সেমিনারে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না, দরিদ্র্যদের সহযোগিতা করতে হবে। করোনায় অর্থনৈতিকভাবে মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আমরা সেটা নিশ্চিত করছি, এ বিষয়গুলো দলের পক্ষ থেকেও দেখতে হবে।
এ সময় ‘শস্যক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু’ তৈরি করে গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান করে নেয়ায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ওই কৃষককে ধন্যবাদ জানাই, যিনি এ কাজটি করেছেন। তিনিই আমাদের পথ দেখিয়েছেন। কৃষক ও মেহেনতী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। আর সেটা আন্তরিকতা দিয়ে করতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা সেটা পারব।
আবারও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবারও নতুনভাবে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। এটা খুবই প্রয়োজন। কারণ আমরা আমাদের গৃহীত পদেক্ষেপে করোনাভাইরাস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। নতুনভাবে সারা বিশ্বেই আবার এই করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হই সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবেও আমাদের কাজ করতে হবে।
চাষাবাদের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ করর যে, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী যেকোন সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ যেন কখনও খাদ্য সঙ্কট দেখা না দেয়, আমরা যেন অপরকে সহযোগিতা করতে পারি সেদিকে আমাদের সবাইকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। মুজিববর্ষে দেশের কোন মানুষ ভূমিহীন কিংবা গৃহহীন থাকবে না। শতভাগ বিদ্যুত আমরা পৌঁছে দিচ্ছি, মুজিববর্ষে দেশের প্রতি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালব। দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাব। বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সম্দ্ধৃ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব, ইনশাল্লাহ।