মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’। এ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে কাজ। এবারের স্যাটেলাইটটির ধরন কেমন হবে তা নির্ধারণে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যেই এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ ও ব্যবহার শুরু হবে।
রাজধানীর বাংলামোটরে বিএসসিএল কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।
জানা গেছে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’-এর ধরন নির্ধারণের জন্য ফ্রান্সের প্রাইসওয়াটার হাউসকুপার্সকে (পিডব্লিউসি) নিয়োগ দিয়েছে বিএসসিএল।
সমঝোতা চুক্তি শেষে শাহজাহান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, পরামর্শক এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে। এরপরের সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল ৫ লাখ ডলারের ওপর। কোনো স্যাটেলাইটটি বাংলাদেশের জন্য উপযোগী, তা ঠিক করতে পিডব্লিউসি পর্যালোচনা করে তিন মাসের মধ্যে বিএসসিএলকে পরামর্শ দেবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ কী ধরনের স্যাটেলাইট হবে জানতে চাইলে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, দ্বিতীয়টি হাইব্রিড স্যাটেলাইট হতে পারে। এই স্যাটেলাইটটি আবহাওয়া, নজরদারি বা নিরাপত্তাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে এখনো যেহেতু ধরনটি ঠিক হয়নি, তাই দ্বিতীয় স্যাটেলাইটে কত খরচ হবে, এটি এখনো অজানা।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের পরামর্শক নিয়োগ করতে দরপত্র আহ্বান করার পর মোট ২১টি আবেদন জমা পড়ে। সেখান থেকে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে দরদাম জমা দিতে বলা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরদাম জমা দেয়। এরপর সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটার হাউসকুপার্সকে (পিডব্লিউসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের খরচ হয়েছিল ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।