আকাশপথে দুর্ঘটনা : ক্ষতিপূরণ ৬ গুণ বাড়িয়ে সংসদে বিল পাস

admin
নভেম্বর ১৯, ২০২০ ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আকাশপথে পরিবহনের সময় দুর্ঘটনায় নিহত বা আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ ৬ গুণ বাড়িয়ে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিয়ল কনভেনশন) বিল-২০২০’ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। নতুন আইনে আকাশপথে পরিবহনের সময় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে ক্ষতিপূরণ এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা করা হয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিল ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সংসদের স্থিরিকৃত আকারে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

এর আগে, বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।
নতুন আইন কার্যকর হলে যাত্রীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার সম্পত্তির বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এ আইনের বিধানের আলোকে ক্ষতিপূরণের অর্থ ভাগ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স বা বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে অথবা আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে।

এছাড়া ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারীর দায় ২০ ডলারের পরিবর্তে পাঁচ হাজার ৭৩৪ ডলার, ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে এক হাজার ৩৮১ ডলার এবং কার্গো বিমানের মালামাল নষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে ২৪ ডলার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আকাশপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৯ সালে ‘মন্ট্রিয়ল কনভেনশন’ অনুযায়ী আইনে এসব ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি করা হয়। বাংলাদেশ ওই কনভেনশনে ১৯৯৯ সালেই স্বাক্ষর করে।

আগে ওয়ারশ কনভেনশন-১৯২৯ অনুযায়ী প্রচলিত ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার অ্যাক্ট-১৯৩৪’, ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন) অ্যাক্ট-১৯৬৬’ এবং ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (সাপ্লিমেন্টারি কনভেনশন) অ্যাক্ট-১৯৬৮ আইনের আলোকে প্রাণহানি, আঘাত ও ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হতো বলে এসবের পরিমাণ ছিল কম।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘মন্ট্রিয়ল কনভেনশন’ আলোকে নতুন আইন না হওয়ায় কোনো দুর্ঘটনার জন্য বর্তমানে প্রচলিত আইনে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খুবই কম এবং তা আদায়ের পদ্ধতি অস্পষ্ট, সময়সাপেক্ষ ও জটিল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জন্য আকাশে চলাচলকারী যাত্রীর অধিকার সুরক্ষা ও মালামাল পরিবহন নিশ্চিত করা, যাত্রীর মৃত্যুর কারণে পরিবারের ক্ষতিপূরণ প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি এবং আদায় পদ্ধতি সহজ করতে আইনটি প্রয়োজন।