৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং শিগগিরই সেতুটির অবশিষ্ট চারটি স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি চলছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজ শনিবার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি চারটি স্প্যান স্থাপনের বিষয়ে আশাবাদী। এরমধ্য দিয়েই বৃহত্তম সেতুর মূল কাঠামো দৃশ্যমান হবে। পদ্মা সেতুর ৩৭তম স্প্যানটি এই মাসে স্থাপন করা হয়েছে এবং এখন সেতুটির মূল কাঠামোর মোট ৫ হাজার ৫৫০ মিটার দৃশ্যমান।
প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর ৩৮ তম স্প্যান ১৬ নভেম্বর এবং ৩৯তম স্প্যানটি ২৩ নভেম্বর স্থাপন করা হবে। আগামী ২ ডিসেম্বর ৪০তম স্প্যান এবং অবশিষ্টটি ১০ ডিসেম্বর স্থাপন করা হবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম অবকাঠামো, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগে করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, পদ্মা সেতু দেশে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে।
তারা বলেন, সরকার অত্যন্ত আশাবাদী যে, নতুন এই বৃহত্তম কাঠামো ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে গেলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর এই অঞ্চলটিতে এক যুগান্তকারী উন্নয়নের সূচনা করবে এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
মূল সেতুটি নির্মাণের কাজটি চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি’ করছে। অন্যদিকে, চীনা কম্পানি সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন এতে নদী শাসনের কাজটি করছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতুতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।