মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াইয়ে হত্যা এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের কারণে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বুথিডাং এবং মংডু শহরে লড়াইয়ে কয়েক হাজার বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদীর তীরবর্তী একটি এলাকায় পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।’
রাখাইনে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর উল্লেখ করে থ্রোসেল বলেন, ‘এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বেসামরিক মানুষ আরও একবার হত্যার শিকার,তাদের সম্পত্তি ধ্বংস ও লুটপাট করা হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার দাবি উপেক্ষা করা হচ্ছে। তারা আবার যন্ত্রণার পুনরাবৃত্তিমূলক দুঃস্বপ্নে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।’
এলিজাবেথ থ্রসেল বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এর আগের সহিংসতার সময় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে তারা।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যারা সুরক্ষা খুঁজছেন, তাদের তা দেয়ার অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।