সাড়ে ৪ মাসে ১৮৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, যেসব বিষয়কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা 

Shakil Shahriar
মে ১৫, ২০২৪ ১১:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১৪ মে পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে ১৮৮ জন শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের তিনদিনেই আত্মহননের পথ বেছে নেয় অন্তত ১০ জন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিক চাপ, দারিদ্র, প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উসকে দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

প্রতিবছরই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অনেক শিক্ষার্থী। আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে দেশে আত্মহনন করেছে ৫১৩ শিক্ষার্থী। ২০২২ সংখ্যাটা ছিল ৫৩২ জন। আর চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১৪ মে পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন প্রায় ১৮৮ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষক, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী সঙ্গীতা ইমাম বলেন, যারা পরীক্ষা ভালো করে, তাদের নিয়ে সবাই উৎসব করে। রাষ্ট্রও তাদের নিয়ে উৎসব করে। কিন্তু যারা ঝড়ে গেল, পারলো না। তাদের জন্য বুস্টার্ব করা। কেন এরা এবার পারলো না, কেন পারলো না। সেগুলো নিয়ে তাদের সহযোগিতা করা। এটা কিন্তু আমাদের মধ্যে নাই।

বিশেষজ্ঞের মতে, আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলে, পরিবারের অন্য সদস্যদেরও আত্মহননের ঝুঁকি থেকে যায়। যদিও পরিবার সহযোগিতার হাত বাড়ালেই বদলাতে পারে এই চিত্র।

মনোবিজ্ঞানী রাউফুন নাহার বলেন, পরীক্ষায় খারাপ করলে মা-বাবারা সরাসরি বলে আমরা কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। তখন শিশু বা শিক্ষার্থীরা তখন কিন্তু মনে করে তাদের বেচে থাকার কোন মানেই নাই। তবে বাইরে থেকে যতই চাপ আসুক, পরিবার ঠিক থাকলে কিন্তু এগুলো কোনো বিষয়ই না।

তবে কি দারিদ্র, প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি আর সোশ্যাল মিডিয়া সবটাই উসকে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের? নাকি সমাজ বিষণ্নতা, মানসিক চাপ কিংবা আত্মহনন প্রবণতার স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত কারণগুলো এড়িয়ে যাচ্ছে?

লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা, যখন ঘটনা ঘটছে, তখন আমরা কথা বলছি। কিন্তু কয়েকদিন পরই থেমে যাচ্ছি। কিন্তু এটাকে স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের একটা সামাজিক সংকট আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিশু-কিশোরের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতার বিকল্প নেই। পদ্ধতিগত দিকগুলোকে মাথায় রেখেই যত্নে থাকুক মন।