বন্ধের ঘাটতি পোষাতে শনিবারও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। চলছে শুক্রবারের ছুটি বাতিলের চিন্তা। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া অভিভাবকদের। আর শিক্ষকরা বিপক্ষে মত দিয়ে উল্টো গত বছর বাতিল হওয়া গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ছুটি সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন। ন্যূনতম ছুটি না থাকলে শিক্ষার্থীদের মনোজগত ও শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বছরের শুরুতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর চলতি দাবদাহে নানা ছুটি ও বন্ধের কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে- তা পুষিয়ে নিতে এবার শনিবারেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রেখে ক্লাস চলছে। আর প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় শুক্রবারেও ক্লাস চালু ইঙ্গিত দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনেক অভিভাবকই বলছেন, শুক্র ও শনিবার ছুটি না থাকায় বাড়ির কাজ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে কিশোর বয়সী সন্তানদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পরিবারে সঙ্গে সময় কাটানো প্রক্রিয়াটিও বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তারা।
শনিবার ক্লাস চালু রাখার বিপক্ষে শিক্ষকদের একটি বড় অংশ। তার বলছেন, হুট করেই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত। ফলে ব্যাহত হতে পারে শিখন-শেখানো কার্যক্রম। সিদ্ধান্ত বাতিল না হলেও আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি।
সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছুটির বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। কিন্তু আমরা ছুটি পাচ্ছি না। আমরা সরকারের কাছে আগেও দাবি জানিয়েছি, নিয়ম মেনে ছুটি দেয়ার। আবারও আহ্বান জানাই শনিবার স্কুল বন্ধ রাখতে। না হলে দাবি আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প কোনো পথ খোলা থাকবে না।ছুটি বা বন্ধ বাতিল না করে প্রাকৃতিক দুযোর্গ হলে সেই ঘাটতি কীভাবে সমন্বয় করা হবে তা বছরের শুরুতেই পরিকল্পনায় রাখার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা সপ্তাহব্যাপী ক্লাসের পর ন্যূনতম দুদিন ছুটি না থাকলে তা শিক্ষার্থীদের মনোজগত ও শরীরে বিরূপ প্রভার ফেলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত ছুটি না থাকলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের ওপরই চাপ বাড়বে। এতে হিতে বিপরীত হবে। এজন্য পরামর্শ থাকবে এ পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য।নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, অভিভাবক প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ সবার।