শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুনের শেষে এ কাজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু ২৫ দিন বাকি থাকতেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।
আজ শনিবার (৫ জুন) দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, করোনাকালে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু থার্ড টার্মিনালের কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি। নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পের নির্মাণ শেষ হবে। আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক এ টার্মিনালটি নির্মিত হলে বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরের সুনাম অর্জন করবে বাংলাদেশ।
পরিদর্শনের সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোঃ মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি এয়ারক্রাফট রাখার অ্যাপ্রোন করা হচ্ছে। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। বিমানবন্দরের এই অংশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে আলাদা একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে টার্মিনালাটির নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা।