গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী আজ শনিবার এক শোক বার্তায় বলেন, ফকির আলমগীর ছিলেন সংগীত ভুবনের একজন কিংবদন্তী।তিনি ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে এবং উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।ঊনসত্তরের গণ–অভ্যুথান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তাঁর গান দিয়ে।গান গাওয়ার পাশাপাশি বংশীবাদক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন,বাংলা পপগানের বিকাশেও ফকির আলমগীরের বিশেষ অবদান রয়েছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ফকির আলমগীরের অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি, জনসংযোগ সমিতির সদস্যসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ফকির আলমগীরের গাওয়া ‘সান্তাহার জংশনে দেখা’, ‘বনমালী তুমি’ ‘কালো কালো মানুষের দেশে’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘ও জুলেখা’সহ বেশ কিছু গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যাঁরা আছেন হৃদয়পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। তিনি তার কর্মের মাঝে অম্লান হয়ে থাকবেন যুগ-যুগ মহাকাল।তার মৃত্যুতে সংগীত ভুবনে অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।