প্রতি ওয়ার্ডে বুথ স্থাপন ও পরীক্ষা বিনামূল্যে করার সুপারিশ

admin
এপ্রিল ২০, ২০২১ ১২:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

করোনা রোগী দ্রুত শনাক্ত করা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নমুনা সংগ্রহ সহজ ও রোগীদের হাতের নাগালে আনতে শহরাঞ্চলের প্রতি ওয়ার্ডে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করতে সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একই সঙ্গে দ্রুত রিপোর্ট প্রদানে নমুনা সংগ্রহের বুথে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা। গত ১৮ এপ্রিল রাতে কমিটির ৩১তম সভায় আলোচনা শেষে এসব সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় দেশে সংক্রমণের অবস্থা ও প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় সারাদেশে উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর আগে এই কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। কারণ বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফল আশা করা যায় না। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও
বলা হয়, করোনা রোগী দ্রুত শনাক্ত করা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ল্যাবরেটরির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। সম্প্রতি নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। নমুনা সংগ্রহ সহজ ও রোগীদের হাতের নাগালের মধ্যে আনার জন্য শহরাঞ্চলের প্রতি ওয়ার্ডে পরীক্ষা বুথ স্থাপন করা প্রয়োজন। রিপোর্ট দ্রুত দেওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহের বুথে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া নমুনা পরীক্ষা সহজলভ্য করার উদ্দেশে কমিটি ইতোমধ্যে সরকারি নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার পরামর্শ দিয়েছে। পিসিআর টেস্ট কিটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বেসরকারি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মূল্য পুনর্নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে যেমন পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে, তেমনি তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে। সাশ্রয়ীমূল্যে পরীক্ষা নিশ্চিত করা গেলে সরকারি ল্যাবরেটরিতে চাপ কিছুটা কমবে। এতে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কমিটির সভায় সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল, ক্লিনিকে করোনা পজিটিভ ও আক্রান্ত হননি এমন গর্ভবতীদের চিকিৎসা নিশ্চিতেরও অনুরোধ করা হয়। এতে বলা হয়, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন ডিএনসিসি হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে একটি কর্নার ও বিশেষায়িত (আইসিইউ) ব্যবস্থা। প্রতিটি হাসপাতাল তার নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী চেইন অব রেফারেন্স সিস্টেম মেনে চলবে। এ ছাড়া মৃদু করোনা রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কোয়ালিটি নিশ্চিতে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়মিত মনিটরিংও জোরদার করতে হবে।