ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার
তদন্তে গাফিলতি হলে চাকরিচ্যুতি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ ধর্ষককে সহানুভূতি না দেখাতে সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশ
গাফফার খান চৌধুরী ॥ ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। গণদাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ধর্ষকদের শাস্তি যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদ- করার প্রক্রিয়া চলছে। ধর্ষক যেই হোক তার প্রতি কোন ধরনের সহানুভূতি না দেখানোর ঘোষণা এসেছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকে। কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হলে তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি তাদের ফৌজদারি আইনে শাস্তির আওতায় আনা হবে। দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে ধর্ষণ মামলা। ইতোমধ্যেই নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত সরকারের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়ন বা নির্যাতনের কোন মামলা তদন্তে গাফিলতি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদের চাকরিচ্যুত করার ঘোষণা এসেছে। ধর্ষকদের সমাজের সব স্তর থেকে বয়কট করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার মাদককে দেশের অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দুইশ’ গ্রামের বেশি মাদক নিয়ে গ্রেফতারকৃতদের শাস্তি যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদ- করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন দেশবাসী ধর্ষণসহ কোন ধরনের অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বেশি সোচ্চার। এটি রাষ্ট্রযন্ত্র এবং সচেতন মানুষের জন্য হয়েছে। আগে লজ্জার ভয়ে ধর্ষিতারা মুখ খুলতেন না। সময়ের পরিবর্তনে ধর্ষিতারা মুখ খুলছেন। যে কারণে কয়েক বছর ধরেই ধর্ষণের ঘটনাগুলো ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সারাদেশে বিক্ষোভ হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, ধর্ষণের অপরাধ তো মারাত্মক এবং জঘন্য ও খুবই নৃশংস। বিশেষ করে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা। ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার ক্ষেত্রে মৃত্যুদ-ের আইন আছেই। এবার শুধু ধর্ষণের বিচারের ক্ষেত্রেও আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে বর্তমান আইন যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যেই এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ইতিবাচক। এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই আইন পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। এসব বিষয় নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক চলছে। কারণ এটি এখন সময়ের দাবি। দেশের জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ধর্ষণ আইনের পরিবর্তন করা হচ্ছে। জনগণের দাবি মোতাবেক ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদ- করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, অতীতে আমরা মাদককে দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এজন্য আইন পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। দুইশ’ গ্রামের বেশি হেরোইন বা ইয়াবা বা আরও মারাত্মক সব মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া অপরাধীর সাজা যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যুদ- করা হয়েছে।
সরকারের বিচার বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে জানান, ইতোমধ্যেই সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার মামলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে। এ ধরনের মামলায় যারা গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে, ওইসব মামলা দ্রুত নিষ্পতি করার কথা বলা হয়েছে। বিচারের নামে যেন কোন ভুক্তভোগীর পরিবার হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। শুনানি বা রায়ের বিরুদ্ধে করা আপীলের ক্ষেত্রে যেন সময় বেশি না নেয়া হয়, সেদিকটি বিবেচনা করতে বিচার বিভাগকে আরও যতœশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে আলোচিত যেসব ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের ঘটনা যেগুলো একেবারেই দৃশ্যমান বা সত্য সেসব মামলায় যত দ্রুত সম্ভব বিচার কাজ শেষ করতে সরকার বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের শুরুতে কলেজ গেটে বিপদগ্রস্ত এক নারীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টার সময় গণধোলাই দিয়ে বিবস্ত্র করে ফেলার দৃশ্য সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে গত বছর আশুলিয়ায় ‘হুজুরের সেবা কর বেহেস্ত পাবি’, এমন প্রলোভনে ফেলে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে তারই শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুনের (৪২) ধর্ষণ, একই দিন গাজীপুরের গাছা থানাধীন শরিফপুর এলাকায় ধর্ষণের পর শিশু তাফান্নুম তাহিকে (৫) ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা, গত বছরের জুলাইয়ে ‘হুজুরের সেবা কর, বেহেস্ত নিশ্চিত’ এমন কথার প্রলোভনে ফেলে ধর্ম পরায়ণ এক কিশোরী ছাত্রীকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার একটি মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আহম্মেদের ধর্ষণ, গত বছর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের (ইউপিইএইচডিপি) প্রকল্পের পরিচালক যুগ্ম সচিব আব্দুল খালেক (৫৩), অন্তর (৩৫), আবু বক্কর প্রধান (৪৫), রবিউল ইসলাম রবি (৩৮) ও মিল্টনের (৪০) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, চলতি বছরই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ, অসুস্থ স্বামীকে রক্ত দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্ত্রী ধর্ষণ, সিলেটের এমসি (মুরারী চাঁদ) কলেজের ছাত্রবাসে এক স্ত্রীকে স্বামীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গির্জায় কিশোরীকে আটকে রেখে ফাদারের তিন দিন ধর্ষণ, নোয়াখালীতে গৃহবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীর নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া থেকে শুরু করে মেয়ে পাতিয়ে সাধুর নারী ধর্ষণের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এসব ধর্ষণের ঘটনার জেরে নতুন করে সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষ করে নোয়াখালী, সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, ঢাকার উত্তরায় শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এর বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এতে শামিল হয়েছে।
ধর্ষকের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পিছপা হয়নি ক্ষমতাসীন দলও। ধর্ষকদের ক্রসফায়ারের মতো শাস্তি দিতে অথবা মৃত্যুদ- দেয়ার দাবি উঠেছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর সংলগ্ন মিরপুর রোডে যুব মহিলা লীগ ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ করে। সংগঠনের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলসহ উপস্থিতরা ধর্ষকের ফাঁসি দাবি করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্ষণ এক ধরনের সামাজিক ব্যাধি। এটি এক ধরনের সন্ত্রাসও। সরকার ধর্ষণ, হত্যার সঙ্গে জড়িত কোন অপরাধীকেই ছাড় দেয়নি। ধর্ষণের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে তাদের কঠোর শাস্তি হবে। সে যে দলেরই হোক। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের কথাও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ধর্ষণের সব মামলা দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত এবং ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। ধর্ষকদের সাঁড়াশি অভিযান প্রয়োজনে ব্লক রেইড পদ্ধতিতে গ্রেফতারের নির্দেশনা জারি করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান আরও জোরদার করার কথা বলেছেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ধর্ষকদের ফাঁসি হওয়া উচিত। ধর্ষণের প্রতিবাদে যারা রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন তাদের ধন্যবাদ। দেশের অর্ধেক নারী। ধর্ষক, ধর্ষকই। তার কোন পরিচয় নেই। সামাজিক, রাজনৈতিক কোনভাবেই তার পরিচয় নেই। যে ধর্ষক সে নিশ্চয়ই কারো না কারো সন্তান। সেই মাকে ধর্ষক পুত্রকে বর্জন করার আহ্বানও জানান তিনি। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্ষকদের বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ধর্ষকদের ক্রসফায়ারের মতো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন এবং মাদকের সঙ্গে যেই জড়িত থাক তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। একের পর এক ধর্ষকদের গ্রেফতার করছে পুলিশ ও র্যাব। ইতোমধ্যেই মাদকাসক্ত ৪৮ জন পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ডিএমপি কমিশনার। মাদক বা কোন ধরনের অপরাধে যেই জড়িত থাক, সে পুলিশ, সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের যেকোন স্তরের মানুষই হউক না কেন, তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে রীতিমতো জিহাদ ঘোষণা করেছেন তিনি।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খ্যাতিমান অপরাধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলছেন, যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণ এবং ধর্ষণ পরবর্তী খুন একটি সামাজিক ব্যাধি। এ ক্ষেত্রে আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করার জরুরী। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবারকেও সচেতন থাকতে হবে। ধর্ষণের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে প্রয়োজনে পাড়া মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি সভা সমাবেশ করে মানুষকে সচেতন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পাঠদানের মাধ্যমে এসব বিষয় সম্পর্কে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ধর্ষকদের বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সমাজের সব স্তর থেকে ধর্ষকদের বয়কট করতে হবে। ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক বন্ধ করতে হবে। ছেলে মেয়েদের খেলাধুলাসহ বিশুদ্ধ বিনোদনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ছাড়াও তাকে প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়েরকারীকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন। ধর্ষণের ক্ষেত্রে মাদক প্রধান ও অন্যতম উপকরণ হিসেবে কাজ করে। এজন্য মাদক নির্মূলে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যেই পুলিশের সকল ইউনিটকে মাদক, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ সব ধরনের অপরাধে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, তারা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। যেখানেই মাদক, সেখানেই অপারেশন। এই থিউরি প্রয়োগ করতে র্যাবের সকল ব্যাটালিয়নকে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর ধর্ষকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের যে প্রান্তেই থাকুক, ধর্ষক রেহাই পাবে না।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ধর্ষকরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, এজন্য সকল বিমানবন্দর ও স্থলসীমান্ত পয়েন্টকে সরকারের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ করে দ্রুত বিদেশ যেতে চায় বা দ্রুততার সঙ্গে সীমান্ত পাড়ি দিতে চায় এমন ব্যক্তিদের বিষয়ে ভালভাবে যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।