ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি যেন কেউ না করে

Shakil Shahriar
অক্টোবর ২০, ২০২১ ৯:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে।
আমাদের সংবিধানেও সেই নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। আমাদের ইসলাম ধর্মও সেই কথাই বলে। নবি করিম (সা.) বলেছেন, ‘ধর্ম নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করো না।’ কাজেই সেই বাড়াবাড়ি যেন কেউ না করে এবং এ দেশের সব ধর্মের মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই দেশের শিশুরা যাতে মেধা ও জ্ঞান নিয়ে যথাযথভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়। কাউকে যেন তার ছোট ভাই শেখ রাসেলের মতো নির্মমতার শিকার হতে না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এত রক্তক্ষয়, এতকিছু বাংলাদেশে ঘটে গেছে। এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে। বাংলাদেশকে যেন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। দেশের মানুষের জন্য আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ রেখে যেতে চাই। যাতে রাসেলের মতো আর কাউকে হারাতে না হয়, এ ধরনের নিষ্ঠুর ঘটনা যেন আর না ঘটে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দেশে খুনিদের রক্ষায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে না বলে আইন করা হলো এদেশে।
বিশ্বে যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, অনেকে আমাকেও প্রশ্ন করেন-তাদের সেই প্রশ্ন করার কী অধিকার আছে? বাবা-মা-ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার চাইতে পারিনি, আমাকে একটি মামলাও করতে দেওয়া হয়নি।
তখন তারা কোথায় ছিলেন? তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের দায়মুক্তি দিতে শুধু আইন করা নয়, খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানিয়ে পুরস্কৃত করা, প্রহসনের নির্বাচনে খুনিদের এনে সংসদে বসানোর ঘটনা ঘটেছে। জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া এসব কাজ করেছে।
’৭৫-পরবর্তী হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং নির্বিচারে সামরিক অফিসার-সৈন্যদের হত্যার ঘটনাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ’৭৫-এর পর একের পর এক ক্যুর ঘটনা ঘটেছে। তখন অনেকে বলার চেষ্টা করেছে যে, জিয়ার হাতে নাকি সেনাবাহিনী শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল হয়েছিল! ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত দেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না, হাজার হাজার সেনা অফিসার ও সৈন্যকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন করেছে। তাদের মধ্যে কোনো মানবতা ছিল না, এখনো নেই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খুনিদের প্রতি খালেদা জিয়ার পক্ষপাতিত্বের কারণটা কী? কারণটা খুব স্পষ্ট। কারণ, খুনি মোশতাকের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল।
ছোট ভাই শেখ রাসেলকে সর্বশেষ হত্যা করা হয়। বলা হয়েছিল, ওই ছোট্ট শিশুটিও যেন না বাঁচে। এই নির্দেশটা কে দিয়েছিল? কারা দিয়েছিল? সব শেষে সব লাশ মাড়িয়ে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হলো। এটাই সবচেয়ে বড় কষ্টের। আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট যেন কারবালার প্রান্তরের মতো ঘটনা ঘটে গেল। কারবালায় শিশু-নারীদের হত্যা করা হয়নি।
যে বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করলেন, বছরের বেশি সময় কারাগারে নির্যাতন সহ্য করলেন, সেই বাঙালির হাতেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে জীবন দিতে হলো। মাত্র ১০ বছরের শিশু রাসেলকেও চলে যেতে হলো ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখনও চেষ্টা করেছি, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে এই দেশের শিশুরা তাদের লেখাপড়া, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, তারা যেন নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে।
আজকে যেমন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেটা তৈরি করার জন্য তাদের প্রস্তুত করা, তাদের ট্রেনিং দেওয়া, সব রকম ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সরকারপ্রধান আরও বলেন, শিশুর নিরাপত্তা, শিশু অধিকার আইন তো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে করে দিয়ে গেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষাটাকে অবৈতনিক করে দিয়ে গেছেন, বাধ্যতামূলক করে দিয়ে গেছেন। কাজেই আমার বাবার আদর্শ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, যাতে আমাদের দেশের শিশুরা যেন আর এই নির্মমতার শিকার না হয়।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে জোটের আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, এখনো আমরা সেই নির্মমতা মাঝেমধ্যে দেখি।
পরবর্তী সময়েও আমরা দেখেছি। কিন্তু এইটা যেন না হয়। দেখেছি, আগুন নিয়ে পুড়িয়ে কীভাবে হত্যা করা হচ্ছে জ্যান্ত মানুষগুলোকে, শিশুকে পর্যন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় পিতা দেখেছেন নিজের চোখের সামনে আগুনে পুড়ে সন্তান মারা যাচ্ছে।
সে রকম নিষ্ঠুর ঘটনা তো বাংলাদেশে ঘটেছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে দুর্ভাগ্য এই বাংলাদেশের। তিনি আরও বলেন, আমি এইটুকু চাইব, এখানে মানবতার প্রশ্ন যারা তোলে, তারা যেন এই ঘটনাগুলো
ভালোভাবে দেখে যে বাংলাদেশে কী ঘটল, কী ঘটেছে। কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা কোনো শিশু রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে না, টোকাই থাকবে না। তাদের যেন একটা ঠিকানা থাকে, তারা যেন একটু ভালোভাবে বসবাস করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্ত থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি বক্তৃতা করেন। গণভবন প্রান্ত থেকে আলোচনাসভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর : দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজকের (মঙ্গলবার) কেবিনেট মিটিংয়ে এটা স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, খুব কঠোর অ্যাকশনে যেতে হবে। যারা যারা জড়িত আছে তাদের অবশ্যই ধরতে হবে। পাশাপাশি জনগণ যাতে নিজে থেকে প্রতিক্রিয়া না করেন সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২১’ এর খসড়াসহ মোট তিনটি আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীন অনুষ্ঠিত সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কেউ প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত হলে তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সর্বনিম্ন ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয় খসড়ায়।
সেইসঙ্গে আর্থিক জরিমানার সুযোগও রাখা হচ্ছে। বিদ্যমান পিএসসি আইনে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করলে কোনো শাস্তির বিধান নেই। আইনের সংশোধনে কারাদণ্ডের সময় উল্লেখ করে দেওয়া হলেও আর্থিক জরিমানার সুযোগ অবারিত রাখা হয়েছে। পিএসসি আইনের বিধান মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যাবে।
গণভবন থেকে মঙ্গলবার সচিবালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভা কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি কুরআনের অবমাননা করে, কুরআন আমাকে কোনো অথরিটি দেয়নি যে আমি গিয়ে তার ধর্মের কোনো কিছু গিয়ে ভাঙব।
আমি প্রতিবাদ করতে পারি, সরকারের কাছে দাবি করতে পারি যে এটা ধরে বিচার করে তাকে শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু আমি গিয়ে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করব-এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ইসলামে।
এটা হলো ফিতনা। ফিতনা হলো সবচেয়ে বড় অপরাধ। সদ্যসমাপ্ত দুর্গাপূজার মধ্যে ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, রংপুরসহ কয়েকটি জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয় হিন্দুদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এতদিন ১৯৭৭ সালের অধ্যাদেশে সরকারি কর্ম কমিশন চলত। তিনি জানান, পিএসসির পরীক্ষা পদ্ধতির বিষয়েও খসড়ায় একটি রূপরেখা করে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে পরে বিধি প্রণয়ন হবে।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু অপরাধের কথা বলা হয়েছে। কেউ যদি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে তাহলে সর্বোচ্চ ২ বছর, সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেওয়া যাবে। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা করলেও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৩ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে। তবে জরিমানাটা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। উত্তরপত্রের জালিয়াতির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন, তাদের সর্বোচ্চ ২ বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হতে পারে।
প্রস্তাবিত আইনে পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কেউ এ আইনে অপরাধ করলে ২ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হতে পারে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ সাজা দেওয়া যাবে।
‘জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জাকাত তহবিল গঠন করা হবে। তহবিলের অর্থ সরকারিভাবে সংগৃহীত হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অর্থ যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের জাকাত ফান্ডে জমা দিয়ে জাকাত আদায় করতে পারবেন। আর একটি বোর্ড থাকবে।
ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এটার চেয়ারম্যান থাকবেন। সরকারিভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ করা হবে এবং আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারিভাবে জাকাত দানে উদ্বুদ্ধকরণ। জাকাত সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, জাকাত দানে আগ্রহী ব্যক্তিদের জাকাতযোগ্য সম্পদের বিষয় খসড়া আইনে রয়েছে। এছাড়াও ‘চট্টগ্রাম শাহী জামে মসজিদ আইন-২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়া মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিসভাকে অভিহিত করা হয়। ই-কমার্সের পণ্য কেনাবেচায় রেজিস্টার্ড গেটওয়েতেই পেমেন্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ জাতীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে একটা রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মধ্যে এনে তাদের মনিটরিং করতে হবে। ই-কমার্স তো বন্ধ করা যাবে না। সুতরাং তাদের সবাইকে রেজিস্ট্রেশন ও মনিটরিংয়ের আন্ডারে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুই মাসের মধ্যে ভালো একটা ফল দেখা যাবে আশা করি।