তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করতে ভারত ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছে দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু। নদীটির বাংলাদেশের অংশ শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়। কারণ ভারত তার অংশে পানি ধরে রাখে। ফলে বাংলাদেশের নদীনির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে ঢাকা সফর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার। ৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন। এ সময় শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করবেন তিনি।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুলাই মাসের প্রথমার্ধে শেখ হাসিনা দিল্লি সফর করবেন। এই সফর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন সমস্যাগুলো মোকাবেলা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের তিস্তা নদীকেন্দ্রিক চীনের পরিকল্পিত প্রকল্পটি বিনয় মোহন কোয়াত্রার এবারের সফরে আলোচনায় আসতে পারে। তার এই সফরে চীনের বাহিনীর সাথে বাংলাদেশের আসন্ন এক যৌথ সামরিক মহড়ার কারণে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
দ্য হিন্দু বলছে, বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। এসব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের ড্রেজিং এবং উন্নয়ন প্রকল্প। তিস্তা নদী সংলগ্ন অঞ্চলকে ইকোনমিক জোনে পরিণত করার পরিকল্পনা এটি। প্রকল্পটি ২০২০ সালে আলোচনায় আসে। তখন থেকেই প্রকল্পটি ভারতের নজরে রয়েছে। এটি ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি করিডোর এবং দেশটির উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর কাছাকাছি পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
চীন ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে ভারত নজর রাখছে বলে দ্য হিন্দুর খবরে জানানো হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই মহড়ার খবর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি।’