জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা দেশে জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন। এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ছয়টি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ টিকার অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
জনসন অ্যান্ড জনসন টিকার সুবিধা হলো এটা সিঙ্গেল ডোজ। অর্থাৎ এই টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। দেশে অনুমোদিত করোনার বাকি টিকাগুলো দুই ডোজের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জ্যানসেন-সিলাগ ইন্টারন্যাশনাল এনভি, বেলজিয়ামের উৎপাদিত কোভিড-১৯–এর টিকা জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঔষধ প্রশাসনের অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস মূল্যায়ন করে আজ থেকে টিকাটি জরুরি ভিত্তিতে (ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন) ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশে এই টিকার স্থানীয় এজেন্ট হচ্ছে এমএনসি অ্যান্ড এইচ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
ঔষধ প্রশাসন বলছে, ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাটি ব্যবহারযোগ্য। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সসীমার ব্যক্তিদের এ টিকা দেওয়া হবে।