তাপ পরিস্থিতি সামলাতে সবার আগে শিক্ষার্থীদের কথা ভাবছে সংশ্লিষ্টরা

Shakil Shahriar
মে ২, ২০২৪ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। টানা প্রচণ্ড এই গরমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শাকসবজির ক্ষেত, মুরগীর খামার, আমের বাগান। এই গরমে স্কুল কলেজ প্রথম সাত দিন বন্ধ করে দেওয়া হলেও তারপরে খোলার সিদ্ধান্ত এবং একদিনের মধ্যে আবারও আংশিক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একেকবার একেক সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু অভিভাবর ক্ষোভ প্রকাশ করলেও অনেকেই বলছেন, সংশ্লিষ্টদের কাছে পরিস্থিতিটা নতুন। সকলের ধৈর্য ধরা জরুরি।

ঈদের ছুটির পর পর গরম বেড়ে যাওয়ায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ২৮ এপ্রিল গরমে ঘেমে নেয়ে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরে শিক্ষার্থীরা। রবিবার সরকারি ঘোষণা ছিল প্রাইমারি খোলা থাকলেও মাধ্যমিক স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু অনেক সরকারি ও বেসরকারি স্কুলই এদিন খোলা ছিল। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের করতে হয় ক্লাস।

এরপরেই আবারও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জেলায়। এরই মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে)) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়।

বেসরকারি স্কুলে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাশেদা খানম বলেন, অনেকে রাগ করছে। কী হচ্ছে বুঝতে পারছেন না। রাগ করলেতো হবে না। এই পরিস্থিতি সবার কাছেই নতুন। সরকারকেও ভাবতে হচ্ছে কী করতে হবে, কীভাবে শিশুরা ভালো থাকবে। দিনের পর দিন স্কুল বন্ধ রাখাটাতো কাজের কথা না।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখে তাদেরকে ধৈর্য ধরতে বললেন ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের এক অভিভাবক। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহে স্কুল বন্ধ করতে হব্ এটা আমরা কেউ জানতাম না। কতদিন বন্ধ থাকবে কেউ বলতে পারে না। অসুবিধা না করে কীভাবে কার্যক্রম চালানো যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। একটু ধৈর্য ধরতেই হবে। করোনাকালে আমরা এসব সামাল দিয়েছি। এবারও পারবো নিশ্চয়।

সর্বশেষ, চলপমান তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আজ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। এই গরমের মধ্যে স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এমন ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে আদালতকে জানান। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দেন। সব মিলিয়ে সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি সামলে নেওয়া যাবে বলে মনে করেন অভিভাবকরা।