বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ঠেকাতে ৫ সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পেন ওয়াই ফ্যানের প্লেনারি-২-তে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসিসি) অধীনে কনফারেন্স অব দি পার্টিস (কোপ২৬) সম্মেলনের ২৬তম অধিবেশনে এ সুপারিশ করেছেন তিনি।
৫ সুপারিশ হলো-
প্রথম সুপারিশে শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান অর্জনে জ্ঞান, গবেষণা, সক্ষমতা তৈরি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
দ্বিতীয় সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সবাকে সম্মিলিত অবস্থান নিতে বলেন। এক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত অবস্থান জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তৃতীয় সুপারিশে জলবায়ু অভিবাসী ইস্যুতে কথা বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, ‘সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, নদী ভাঙন, বন্যা এবং খরার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে জলবায়ু অভিবাসীরা তাদের পৈত্রিক ভিটে-মাটি, ঐতিহ্যগত পেশা হারাচ্ছে। এই মানুষগুলোর পুনর্বাসনে বৈশ্বিক দায়িত্ব রয়েছে।’
জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলাচতুর্থ সুপারিশে বৈশ্বিক তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সবার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রধান গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশগুলোকে তাদের উচ্চাভিলাসী এবং অ্যাগ্রেসিভ এনডিসি’স ঘোষণা করাতে একটি চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে।
পঞ্চম সুপারিশে শেখ হাসিনা জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সহনীয় খরচে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন টেকনোলজি হস্তান্তর করার কথা বলেন।
১ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত কোপ২৬ আয়োজন করছে যুক্তরাজ্য। রাষ্ট্রপ্রধান, প্রতিনিধি এবং প্রচারকর্মী জলবায়ু জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসবেন।