গুলশান লেকপার্ক ও গুলশান-বনানী লেকের পাড়ে গাছ লাগানো, দখলমুক্ত, লেকের পানি পরিষ্কার রাখা এবং ময়লা- আবর্জনামুক্ত, সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতা রাখার দায়িত্ব আবারো পেলে গুলশান সোসাইটি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গুলশান সোসাইটির মধ্যে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঢাকার অন্যতম প্রসিদ্ধ আবাসিক কমিউনিটি গুলশান সোসাইটি। গুলশান এলাকার অধিবাসীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একটি সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এটি। গুলশানের অধিবাসীদের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে গুলশান সোসাইটি। রাজউক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ডেসকো এবং ওয়াসার মত সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় ও পার্টনারশিপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যা সমাধানে সক্রিয় গুলশান সোসাইটি। এরই ধারাবাহিকতায় গুলশান লেকপার্ক ও গুলশান-বনানী লেক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে নতুন এ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকে গুলশান সোসাইটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ এবং রাজউকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এই সমঝোতা স্মারকের ফলে রাজউকের পক্ষ থেকে গুলশান-বনানী- বারিধারা লেকের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে গুলশান সোসাইটি। এছাড়াও রাজউকের মালিকানাধীন গুলশান লেক পার্ক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে সোসাইটি। রাজউক ও গুলশান সোসাইটির এই যৌথ কার্যক্রম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি লাভ করেছে।
রাজধানীর ঢাকার অন্যতম প্রসিদ্ধ আবাসিক কমিউনিটি গুলশান সোসাইটির সাথে এর আগে লেক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের সমঝোতা স্মারক ২০১৮ সালে প্রথম স্বাক্ষরিত হয়। লেক পার্ক ব্যবস্থাপনার সমঝোতা গত ২০০৫ সাল থেকে চলমান রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বনানী-গুলশান-বারিধারা লেকের সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে আসছে গুলশান সোসাইটি। লেকের পাড়ে গাছ লাগানো, দখলমুক্ত রাখা, লেকের পানি পরিষ্কার রাখা এবং ময়লা-আবর্জনামুক্ত রাখতে কাজ করছে গুলশান সোসাইটি। সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করছে সোসাইটি। বিভিন্ন সময় লেকের গুলশান অংশে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। লেকে বর্জ্য না ফেলতে এলাকাবাসীকে সচেতন করেছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের মেম্বর ডেভলপমেন্ট মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) শামছুদ্দীন আহমেদ চৌধুর (অব:), ডিএনসিসির ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ, গুলশান সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মাহিন খান,গুলশান সোসাইটির লেক পার্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির কনভেনার অ্যাডভোকেট হোসনে আরা আহসান ও ইভা রহমান।