দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত জেলা মাগুরা। ১৯৮৪ সালে মাগুরা মহকুমা থেকে মাগুরা জেলায় উন্নীত হয়। মাগুরায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের দুয়ার খুলে গেছে। উন্নয়নের ফলে জেলায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। জেলায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি মাগুরাবাসী উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে। রেলপথ, ৪ লেন সড়কের কাজ চলছে। মধুমতি নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন শেখ হাসিনা সেতু, নবগঙ্গা নদীর ওপর শেখ কামাল সেতু, আধুনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়াম, শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়াম প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়েছে এবং জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের কাজ শুরু হয়েছে। চলছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের কাজ।
রেল লাইন নির্মাণ ॥ ২০২৩ সালের মধ্যে মাগুরা থেকে রেলপথে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে পারবে এ অঞ্চলের মানুষ। এতে করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে মাগুরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কর্মসংস্থান ও পণ্য পরিবহনে আসবে নতুন মাত্রা। ২৭ মে ২০২১ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের মধুখালী থেকে মাগুরার ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত ২৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন এ রেললাইনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ১২শ’ ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৪.৮ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া মাগুরা ও কামারখালীতে ২টি নতুন স্টেশন ও ২টি প্ল্যাটফর্ম, ২টি শেড নির্মাণ, একটি আন্ডারপাস, গড়াই ও চন্দনায় ২টি মেজর রেল সেতু, ২৮ মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এর পাশাপাশি সিগন্যালিং ও ইলেকট্রিক্যাল কাজ করা হবে। এ কাজের জন্য ১৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সে লক্ষ্যে মাগুরা জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনার মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনপথকে রেল সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত উন্মচিত হবে।
মধুমতি নদীতে শেখ হাসিনা সেতু ॥ জেলার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীতে এ্যালেংখালী ঘাটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬০০.৭০ মিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা সেতুর নির্মাণ করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এই সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। সেতুটি চালু হওয়ায় মাগুরা থেকে মাওয়া হয়ে ঢাকা যাতায়াত সুবিধা এবং গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, নড়াইল ও খুলনার সঙ্গে যোগাযোগ এর সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন লাইটিং সকলের নজর কাড়ছে। প্রতিদিন বহু মানুষ এই সেতু দেখতে আসেন।
নবগঙ্গা নদীতে শেখ কামাল সেতু ॥ মাগুরা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীতে জেটিসি ঘাটে ১১ কোটি ৯১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল সেতু নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডি ১৭৫ মিটার লম্বা গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেছে। স্প্যান রয়েছে ৫টি। পাইলের সংখ্যা ৬৪টি। ফলে নদীতীরের লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হলেন। এতদিন বাঁশের সাঁকো এবং নৌকাতে করে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিরাট নবগঙ্গা নদী পার হতো। উক্ত এলাকার মানুষ হাট বাজার, স্কুল কলেজ, চাকরি সূত্রে জেলা শহরে আসা যাওয়ার জন্য প্রতিদিন তাদের নৌকায় করে নদী পার হতে হয়। বর্ষা মৌসুমে সবথেকে বেশি ঝুঁকি ছিল। এলাকাবাসী পারাপারের জন্য বাঁশ দিয়ে বিরাট সাঁকো নির্মাণ করেছিল কিন্তু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বর্ষায় সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। ব্রিজ কাজ শেষ পর্যায়ে হওয়ায় লক্ষাধিক মানুষের জীবন যাত্রার মানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মাগুরা-১ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরের উদ্বোধন করেন।
মাগুরায় চার লেন সড়ক ॥ ৯১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর থেকে আবালপুর পর্যন্ত রাস্তার চার লেনের কাজ চলছে। কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। বেশ কিছু অংশে লাগানো হয়েছে দুষ্টিনন্দন লাইটিং। রাতে আলোগুলো জ্বলছে। যা সকলের নজন কাড়ছে। মাগুরা নতুন রূপ ধারণ করেছে। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরের আন্তরিক চেষ্টায় মাগুরায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকা- চলছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর থেকে আবালপুর পর্যন্ত মহাসড়কে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন।
মাগুরা আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতাল ॥ মাগুরায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যা মাগুরার চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। মাগুরা একশ’ বেডের হাসপাতালের সঙ্গেই ২৫০ শয্যা বেডের হাসপালের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ৬ তলা হাসপাতাল ভবন, ৫টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ওটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য আইসিইউ নির্মাণ করা হচ্ছে। হাসপাতাল ওঠা নামার জন্য রয়েছে সিঁড়ির পাশাপাশি দুটি অত্যাধুনিক লিফট। আইসিইউ চালু হলে মাগুরার মুমূর্ষু রোগীদের আর ঢাকা অথবা ফরিদপুরে যেতে হবে না। মাগুরায় থেকে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবে জেলাবাসী। মাগুরা-১ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। যে ভবন আছে তার ওপর আরও ২তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। ১০ বেডের আইসিইউ নির্মাণ কাজ চলছে। এবছরের শেষের দিকে তা চালু হবে। এছাড়া একটি ব্যাংকের সহযোগিতায় কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করা হবে। চিকিৎসার জন্য আর ফরিদপুরে যেতে হবে না।
মাগুরা মেডিক্যাল কলেজ ॥ মাগুরায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালকে মেডিক্যালে কলেজের ক্যাম্পাস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জেলাবাসী মেডিক্যাল কলেজের উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন। জেলা চিকিৎসাক্ষেত্রে বিল্পব আনবে।
দৃষ্টিননন্দন ইকো পার্ক ও রিসোর্ট সেন্টার ॥ ব্যাপক পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে মাগুরা সদর উপজেলার সিরিজদিয়া বাঁওড়ের ১০৫ একর সরকারী জমিতে ইকোপার্ক ও রিসোর্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসন। মোট এলাকার মধ্যে রয়েছে ৯২ একর জলাশয় ও ১৩ একর স্থলভূমি। ইতোমধ্যে বাঁওড়ের পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ, রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ, বিদ্যুত ব্যবস্থা, কটেজ নির্মাণ, বিনোদনের জন্য বাঁওড়ে নৌ চলাচলের ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। গোটা কাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর প্রধান অতিথি হিসেবে এ পার্ক ও রিসোর্টের প্রাথমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের সিরিজদিয়া বাঁওড় এলাকার ইকোপার্ক ও রিসোর্ট সারাদেশের মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র সুখ্যাতি পাবে। সেভাবেই সাজানো হচ্ছে এটিকে। পাশাপাশি এটি হবে দেশের অন্যতম পিকনিক স্পট। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাঁওড়ের পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ, রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ, বিদ্যুত ব্যবস্থা, কটেজ নির্মাণ, বিনোদনের জন্য বাঁওড়ে নৌ চলাচলের ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। গোটা কাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। কাজের প্রাথমিক পর্যায়ে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর তার সরকারী উন্নয়ন তহবিল থেকে ৩৫ লাখ টাকা এখানে বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কিছু অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
১৯৫টি ঘর গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর ॥ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া জমি ও ঘর মাগুরায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে মাগুরা জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ১৯৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ১৯৫ ঘরের মধ্যে ১৫০টি ঘর প্রতিটি ঘরে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ও বাকি ৪৫টি ঘর প্রতিটি ঘরে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা রঙিন টিনের ঘর, ১টি রান্না ঘর ও ১টি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। মাগুরা জেলায় ১৯৫টি ঘরের মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ৩৫টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৪০টি, মহাম্মদপুর উপজেলায় ৪০টি ও শালিখা উপজেলায় ৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে মাগুরা জেলায় ১৯৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার উপকৃত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়াম ও শেখ কামাল ইন্ডোর স্টেডিয়াম ॥ বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়াম ও শেখ কামাল ইন্ডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে জেলার ক্রীড়া ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছে। বীরমুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান খুলনা বিভাগের অন্যতম আধুনিক ও বৃহৎ স্টেডিয়াম। শেখ কামাল ইন্ডোর স্টেডিয়াম অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া ক্ষেত্রে ব্যাপক আবদান রাখছে। এছাড়া চীফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। যার নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা উপকৃত হবেন। জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুমার কুন্ডু জানান, ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার আসন বিশিষ্ট আধুনিক অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। এর নির্মাণ করা শেষ হলে জেলায় নানা অনুষ্ঠান করতে মিলনায়তনের সমস্যা হবে না।
মাগুরায় শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ॥ মাগুরায় শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। তিনটি উপজেলা শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায় তিনটি বেসরকারী কলেজকে ও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করা হয়েছে। আইসি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল নির্মাণ ॥ মুজিববর্ষ এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাগুরায় জাতির পিতার বিরাট ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু জানান, ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে।
জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ ॥ জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজের কর্মসূচীর আওতায় মাগুরা সদরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় ৪ তলা বিশিষ্ট জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। মাগুরা সদরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় ৪ তলা জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ প্রকল্পের ভৌত সুবিধার মধ্যে রয়েছে- ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, মৃত ব্যক্তির গোসল করানোর স্থান, সভাকক্ষ, অফিস কক্ষ, ইসলামিক চর্চা কেন্দ্র, গেস্ট রুম, মহিলা ও পুরুষের নামাজের পৃথক স্থান, মক্তব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের থাকার স্থান, গাড়ি পার্কিং, মহিলা ও পুরুষ পৃথক ওজুখানা ও লাইব্রেরিসহ অন্যান্য সুবিধা। এছাড়া জেলার ৪টি উপজেলায় উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
রাজা সিতারাম রায়ের রাজ প্রাসাদ ও দোল মন্দির সংস্কার ॥ মাগুরার মহাম্মদপুরে অবস্থিত রাজা সিতারাম রায়ের রাজ প্রাসাদ ও দোল মন্দির সংস্কার করা হচ্ছে। উক্ত কাজের উদ্বোধন করেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। রাজ প্রাসাদ সংস্কার কাজ শেষ হলে আগামীতে এখানে পর্যটক কেন্দ্রে পরিণত হবে এবং দর্শনার্থীরা রাজা সিতারাম রায়ের ইতিহাস জানার সুযোগ লাভ করবে। উল্লেখ্য, রাজা সিতারাম রায় ১৬৮৬ খ্রিস্টাব্দে মোঘল স¤্রাট আওরঙ্গজেবের রাজ দরবার থেকে রাজা উপাধি লাভ করেন। মহম্মদপুরে তার রাজবাড়ি, দৌল মন্দির এবং তার খননকৃত কয়েকটি দীঘি রয়েছে। যা আজও তার স্মৃতি বহন করছে।