দক্ষ গাড়ি চালক তৈরির লক্ষ্যে সরকার ৪০ হাজার যুবককে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। পাশাপাশি, দেশের সব উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু, যুবকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের জন্য ১০০টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, জেলায় জেলায় যুব উদ্যোক্তা মেলা, শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ যুবকদের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া, ফুটবল ও ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলার উন্নয়নে আরও কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে ফুটবল ও ক্রিকেটসহ স্পোর্টসের গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্য ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। ফুটবল নিয়ে আমাদের যে অবস্থায় যাওয়ার সুযোগ ছিল সেটা হয়তো যেতে পারিনি। কিন্তু ক্রিকেটে আমরা আল্লার রহমতে ভালো আছি। আসলে করোনা সংক্রামণের কারণে আমাদের সব খেলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা না থাকলে সারা বছর খেলোয়াড়রা খেলত, প্র্যাকটিস করত। কিন্তু গত এক বছর ঘরের মধ্যেই বন্দি থাকতে হয়েছে। খেলোয়াড়রা অনেকদিন প্র্যাকটিস করতে না পেরে ফিটনেসে হয়তো কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা হয়তো বেশি দিন থাকবে না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুবকদের জন্য আমরা অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের যুব-প্রশিক্ষণ আগে জেলা পর্যায়ে ছিল। এখন আমরা উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এতদিন সব ট্রেনিং সামনাসামনি ছিল। এখন অনলাইনে বা ভার্চুয়াল ট্রেনিং করারও উদ্যোগ নিয়েছি। ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণে বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে।’
জাহিদ আহসান বলেন, ‘আমরা দক্ষ চালক তৈরির জন্য সারাদেশে আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে ৪০ হাজার দক্ষ চালক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দেব। নতুনভাবে এসব চালক তৈরি করা হবে। এটা সম্পূর্ণ নতুন সেটআপ। বিষয়টি সড়ক ও সেতু বিভাগের কাজ। তাদের সঙ্গে আমরাও এই কাজে যোগ দিয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশজুড়ে কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য মুজিব বর্ষে আমরা ১০০টি প্রসেসিং প্ল্যান্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আগে এই কাজটি করত। এখন আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। পাশাপাশি আমরা যুবকদের জন্য যুব ব্র্যান্ড করেছি। আমরা যুবক কিচেন ও যুব শপ করছি। ঢাকায় ১০০টি ও ঢাকার বাইরে ১০০টি যুবশপ করবো। এতে যুবরা তাদের উৎপাদিত পণ্য এসব শপে নিজস্ব ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি করতে পারবে।’
ক্যাসিনোর কারণে কিছু ক্লাব বন্ধ করে দেয়ায় খেলাধুলা চর্চায় সমস্যার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমার আওতাভুক্ত নয়। কিছু ক্লাবের খেলাধুলার টিম রয়েছে। তাদেরকে যাতে খেলাধুলার অনুমতি দেয়া হয় এ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলব তারা যাতে ক্লাবগুলোর মধ্যে নজরদারি রেখে অনৈতিক কোনো কাজে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখে।’
এদিন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সহ-সভাপতি নিত্য গোপাল তুত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান উজ জামান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুদ্র রাসেল ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম মিন্টু।