৩৪তম স্প্যানে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর ৫.১ কিলোমিটার

admin
অক্টোবর ২৫, ২০২০ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পদ্মা সেতু। ছবি: ফাইল, সংগৃহীত

পদ্মা সেতু। ছবি: ফাইল, সংগৃহীত


পদ্মা সেতুর ওপর সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে ৩৪তম স্প্যান। রবিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে নম্বর খুঁটিতে এই স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। এর ফলে দশমিক কিলোমিটার সেতু দৃশ্যমান হলো।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, শনিবার বিকাল ৪টায় মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের দিকে রওয়ানা হয় বিশেষায়িত ক্রেন ‘তিয়ান ই’। প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মাঝ নদীতে ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের কাছে যখন ক্রেনটি পৌঁছে, ততক্ষণে দিনের আলো প্রায় শেষ। আলোর স্বল্পতার জন্য সেদিন স্প্যানটি স্থাপন করা হয়নি। ভাসমান স্প্যানবাহী জাহাজটি ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙ্গর করে রাখা হয়।

রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ক্রেনটির সাহায্য পুনরায় পজিশন অনুযায়ী ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে ধূসর রংয়ের ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি তোলার চেষ্টা করা হয়। এতে সময় লাগে কয়েক ঘন্টা। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ৭ ও ৮নং পিয়ারের থাকা ভূমিকম্প সহনশীল বিয়ারিংয়ের উপর স্প্যানটি সম্পূর্ণভাবে বসানো হয়।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ৩ ও ৪ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৩ নম্বর স্প্যানটি এবং ১১ অক্টোবর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর ৩২তম স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। চলতি মাসে এ পর্যন্ত তিনটি স্প্যান খুঁটির ওপর স্থাপন করা হলো।

অন্যদিকে, পদ্মা সেতুতে বাকি থাকবে ৭টি স্প্যান বসানো। ৩০ অক্টোবর পিয়ার ৮ ও ৯ নম্বরের উপর ৩৫তম স্প্যান (স্প্যান ২-বি), ৪ নভেম্বর পিয়ার ২ ও ৩ নম্বরে ৩৬তম স্প্যান (স্প্যান ১-বি), ১১ নভেম্বর পিয়ার ৯ ও ১০ নম্বরে ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর পিয়ার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮তম স্প্যান ( স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর পিয়ার ১০ ও ১১ নম্বরে ৩৯তম স্প্যান ( স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর পিয়ার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও ১০ ডিসেম্বর সবশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান ( স্প্যান ২-এফ) বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের উপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।

৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।