২০২২ সাল থেকে ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি প্রাক–প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক প্রেসনোটে বলা হয়, সারাদেশে ৫+ বয়সি শিশুদের জন্য বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখার পাশাপাশি জরুরী ভিত্তিতে একটি অন্তর্বতীকালীন প্যাকেজ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ প্যাকেজ অনুযায়ী ২০২১ সালে নির্বাচিত ২৬৩৩টি ক্লাস্টারে ২৬৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি ৪+ বয়সি শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ২০২২ সালে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনের নিকট আজ তার আফিস কক্ষে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ৪+এর অর্ন্তবর্তীকালীন প্যাকেজ হস্তান্তর করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবি’র সদস্য প্রফেসর ড.এ.কে.এম রিয়াজুল হাসান, উর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর কুররাতুল আয়েন সফদার, ও গবেষণা কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাসার।
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা ছোট ছোট শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধবৃত্তিক,ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এ ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অর্ন্তবর্তীকালীন প্যাকেজের মাধ্যমে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ৫+ বছর বয়সি শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে ৫+ বয়সী শিশুদের জন্য সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।