২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা

admin
নভেম্বর ৫, ২০২০ ৮:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে অংশ নেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে অংশ নেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা।


আসছে নতুন বছর.! নতুন বছরের কোন কোন দিন সরকারি ছুটি থাকবে সেই তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে আট দিন সরকারি ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে সাত দিনের ছুটি শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটির বড় একটি অংশই চলে যাবে সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে।

সোমবার (২ নভেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সরকারি ছুটির এ তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয় প্রান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ছুটির তালিকা অনুমোদনের কথা জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগামী বছরের জন্য ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে আটদিন সরকারি ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে সাতদিনের ছুটি শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে।’

তিনি আরো জানান, বরাবরের মতো এবারও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুসলমানদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে পাঁচদিন, হিন্দুদের জন্য আটদিন, খ্রিস্টানদের জন্য আটদিন এবং বৌদ্ধদের জন্য পাঁচদিন।

মন্ত্রিসভা ২০২১ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন করায় এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করবে।

সাধারণ ছুটির তালিকায় রয়েছে-

২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, ৭ মে জুমাতুল বিদা, ১৪ মে ঈদুল ফিতর, ২৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ২১ জুলাই ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩০ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

নির্বাহী আদেশে ছুটির তালিকায় রয়েছে-

২০০১ সালের- ২৯ মার্চ শবেবরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১০ মে শবেকদর, ১৩ ও ১৫ মে ঈদুল ফিতরের আগের ও পরের দিন, ২০ জুলাই ও ২২ জুলাই ঈদুল আজহার আগের ও পরের দিন এবং ২৯ আগস্ট আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।

ঐচ্ছিক ছুটির তালিকায় রয়েছে-

মুসলিম পর্ব: ১২ মার্চ শবে মেরাজ, ১৬ মে ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ২৩ জুলাই ঈদুল আজহা (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ৬ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ১৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম।

হিন্দু পর্ব: ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১১ মার্চ শিবরাত্রি ব্রত, ২৮ মার্চ দোলযাত্রা, ৯ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ৬ অক্টোবর মহালয়া, ১৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৪ নভেম্বর শ্যামাপূজা।

খ্রিস্টান পর্ব: ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ১ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ৩ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ৪ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।

বৌদ্ধ পর্ব: ২৮ জানুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ২৩ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২০ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ২০ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি: ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

যে সব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ষোষণা করবে।