প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠক হবে ১৭ ডিসেম্বর। বৈঠকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, সীমান্তে হত্যা, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে গত মার্চে ঢাকায় আসার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে তা বাতিল হয়।
সূত্র জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনই বৈঠক করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকবেন বলে পরদিন বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়। বৈঠকের আলোচ্যসূচি ও যৌথ বিবৃতির বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের বিজয় দিবস ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর
ওপর ডিজিটাল প্রদর্শনী সম্পর্কে ঘোষণা হবে। এ ছাড়া চলমান যৌথ প্রকল্পের মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলসংযোগ উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এই রেলসংযোগ ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যায়। এই রেল যোগাযোগ চালু হলে বাংলাদেশের উত্তরের বাসিন্দারা সহজেই ভারতের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং যেতে পারবেন। চিলাহাটি থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হবে; যাতে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়া যাবে। একই সঙ্গে কলকাতা থেকে বেনাপোল-দর্শনা-নীলফামারী হয়ে চিলাহাটি যাওয়া যাবে। তারপর হলদিবাড়ি হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে বর্তমানের চেয়ে চার ঘণ্টা কম সময় লাগবে। এ ছাড়া আগামী বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মোদিকে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।