অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারের নির্দেশনা মেনে লকডাউনের মধ্যে জরুরী সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারী বেসরকারী-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা। এদিকে সরকারী দিকনির্দেশনাসহ কঠোর স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনেই দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা তৈরি পোশাকখাতের কারখানা খোলা থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। অন্যদিকে সব কারখানাকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে ইতোমধ্যে সদস্যভুক্ত কারখানাকে ১৬টি দিক নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ।
সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিজিএমইএ’র নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-কারখানা ছুটি বা খোলার সময়ে গেট বা কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকদের ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যে কারখানা প্রবেশ ও কারখানা ত্যাগ করার বিষয়ে এক সঙ্গে না করে একে একে করা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবেশ পথের ব্যবহার নিশ্চিত করা। সম্ভাব্যক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা বিভিন্ন শিফটে নির্ধারণ করা। ফ্লোরে বা কাজের স্থানগুলোতে ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করা। দুপুরের খাবারের বিরতি বা অন্যান্য বিরতি একসঙ্গে না করে যথাসম্ভব ভাগ ভাগ করে করা। কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শ্রমিকের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা। কারখানায় সকলের দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হাত পরিষ্কারক সামগ্রী রাখা।
পর্যাপ্তসংখ্যক সাবানের ব্যবস্থা করা এবং কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সকল শ্রমিককে জীবাণুমুক্ত করা। হাত ধৌতকরণ স্থান বা পানির কলের মধ্যে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব রাখা। জীবাণুমুক্তকরণের পদ্ধতি দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শন করা, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া। হাত ধোয়ার পর শুকানোর জন্য ড্রায়ার বা টিস্যুর ব্যবস্থা রাখা। সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা। কারখানার বাইরে সভা-সমাবেশ, গণপরিবহন বা ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিক-কর্মচারীদের উৎসাহিত করা। করোনা উপসর্গ বিষয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবহিত করা। বিজিএমইএ’র ফ্যাক্টরি ওপেনিং প্রটোকল কঠোরভারে অনুসরণ করা।
ড. রুবানা হক বলেন, প্রতিটি কারখানা চলবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে। শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। এ নিয়ে আমাদের দিকনির্দেশনা কারখানা বরাবর পাঠানো হয়েছে।