এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং গ্রোগ্রামের আওতায় ১০টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আওতায় ২৫টি ক্লাস্টার এবং ৬টি ক্লায়েন্টেল গ্রুপের ২০৮৯ জন উদ্যোক্তাকে ১১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকারও বেশি ঋণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নারী-উদ্যোক্তা ৫১৭জন। ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, মাইডাস ফাইন্যান্সিং এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্সিং।
সম্প্রতি করোনা মহামারীর প্রভাব মোকাবলিায় দশেরে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন দুইটি প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করছেনে। প্যাকেজ দুইটির মোট বরাদ্দ ২,৭০০ কোটি টাকা। নতুন অনুমোদিত প্যাকেজ দুটির প্রথমটির আওতায় সরকার এসএমই ফাউন্ডশেনের অনুকূলে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। বরাদ্দকৃত ৩০০ কোটি টাকা দ্রুততম সময়ে ঋণ হিসেবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে ফাউন্ডেশন হতে ইতোমধ্যে ১০০টি সম্ভাবনময় ক্লাস্টার নির্বাচন এবং প্রাথমিকভাবে এসব ক্লাস্টাররে ঋণ চাহিদা (সংযুক্ত) প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এসএমই ডিভিশন হেড এর অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিং হোলসেলিং প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই ঋণ জামানতবিহীন; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশন হতে প্রাক-র্অথায়ন করা হয়; সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ; ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা; ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪ বছর; মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধযোগ্য; ঋণের পাশাপাশি উদ্যোক্তাগণ প্রয়োজনীয় নন-ফাইনান্সয়িাল সার্ভিস পেয়ে থাকেন।