মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঠিকানা। গৃহহীন পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে গৃহ নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে। গৃহহীন পরিবার তাদের স্বপ্নের ঘর পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। বৃস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ্, সরেজমিনে গিয়ে কাজের সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করেন।
আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার’এই স্লোগানে রৌমারী উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসন উপহার হিসেবে দেয়া খাস জমিতে গৃহ নির্মাণের কাজ করছে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে গৃহ নির্মাণকাজ করছে।
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে। প্রত্যেক ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত করে ওই জমির ওপর ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধা-পাকা সেমি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। সরকারি নির্ধারিত নকশায় সবগুলো ঘর তৈরি করা হচ্ছে। রান্নাঘর,সংযুক্ত টয়লেট, গোসল খানাসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে এসব ঘরে।
উপজেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামে ১০ টি, যাদুরচর ইউনিয়নের লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামে ৩০ টি ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে ১০ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রত্যেক সুবিধাভোগীর নামে সরকারি ২ শতাংশ জমির বন্দোবস্ত দলিল ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করে সুবিধাভোগী পরিবারের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, আমাদের বরাদ্দকৃত ঘরের নির্মাণকাজ প্রায়ই শেষের দিকে। এ প্রকল্প অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনরাই এই ঘর গুলো পাবেন। জেলা প্রশাসকের সার্বিক দিকনির্দেশনায় নির্মাণকাজ সঠিক ভাবে করা হচ্ছে। ফলে অসহায় পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ্ বলেন, ঘর নিমার্ণের কাজ সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় আমার উপজেলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়নে বিশ্বাসী এটি তার আরেকটি বড় উদাহরণ। মুজিব শতবর্ষে গৃহহীনদের ঘর নির্মানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার করা অঙ্গিকার আজ তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।