• বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে
• স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব
• দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ বাস্তবায়ন শুরু
আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে সোয়া ছয় লাখ কোটি টাকার। করোনা মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দ্রুত চাঙ্গা করতে নানা উদ্যোগ থাকবে বাজেটে। ইতোমধ্যে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রাথমিক ধারণা তৈরি করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম ভাগেই শুরু হবে বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া। এই লক্ষ্যে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বৈঠক হতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত বছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার আরও বড় করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সোয়া ৬ লাখ কোটি টাকাই প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়। আগামী বাজেটে যেসব বিষয় প্রধান্য পাবে এর মধ্যে রয়েছে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়ন করা, করোনাসহ রোগ-বালাই মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা ইত্যাদি।
এছাড়া পদ্মা সেতুসহ দশ মেগাপ্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হবে। করোনায় বিপর্যস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বাজেটেও স্বস্তিদায়ক কর-ভ্যাট নীতি অবলম্বন করা হবে। রূপকল্প-২১ এর ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা শুরু হবে আগামী অর্থবছর থেকে। উন্নত দেশের স্বপ্ন নিয়ে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলছে। করোনার কারণে শতভাগ বাজেট বাস্তবায়নে কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এরপরও পুরোপুরি বাজেট বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার। সাধারণত ছয় মাস আগে থেকে বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়। আগামী বাজেটে কোন বিষয়গুলোতে সর্বোচ্চ জোর দেয়া হবে সেই লক্ষ্য নির্ধারণে কাজ শুরু করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা মোকাবেলায় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থ বিভাগ যে সিরিজ বৈঠক করছে, সেখানেও আগামী বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা করা হয়। শীঘ্রই অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট প্রণয়ন কাজ শুরু করার পাশাপাশি স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, করোনা মোকাবেলা ও অর্থনীতি দ্রুত গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে। কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দশ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং করোনা মোকাবেলার মতো বড় কর্মসূচী থাকবে নতুন বাজেটে। তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান এবার আরও বেশি পরিমাণে চাওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং আইএমএফের সঙ্গে আগামী বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চলতি বাজেটেও সংস্থা দুটির বড় সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী বাজেট প্রণয়ন করতে হবে বাস্তবতার নিরিখে। বিশেষ করে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রানীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হতে হবে। এছাড়া আগামী বাজেটে দুটো বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। টাকা কোথা থেকে আসবে, আর যাবে কোথায়? বাজেটে অগ্রাধিকার পুনর্র্নির্ধারণ করতে হবে। সেখানে বর্তমান প্রয়োজন এবং অদূর ভবিষ্যতে কী প্রয়োজন হতে পারে, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। তাই আগামী বাজেটে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে স্বাস্থ্য খাতে। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এসবেও প্রাধান্য দিতে হবে। অন্যদিকে বাজেটের অর্থায়নও গতানুগতিক ধারায় হবে না। কাক্সিক্ষত রাজস্ব আদায় হবে না, বিদেশী সহায়তা বেশি নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি বাজেটের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় এবং অর্থায়নও সঠিক হয়, তবে বাজেট ঘাটতি ৭-৮ শতাংশ হলেও ক্ষতি নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, গতানুগতিক ধারা থেকে বের হতে না পারলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে আসবে না। আর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে না এলে অর্থনীতিও সচল হবে না। করোনা সংক্রমণ রোধ করতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। এজন্য সরকার সকলকে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহের চিন্তা করছে। স্বাস্থ্যসেবা দুই ভাগে বিভক্ত। গণস্বাস্থ্য সেবা এবং ব্যক্তিক স্বাস্থ্যসেবা। উভয়ের উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হবে।
জানা গেছে, করোনায় বিপর্যস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন বাজেটে স্বস্তিদায়ক কর-ভ্যাট নীতি অবলম্বন করা হবে। নাগরিকদের ওপর করের বোঝা চাপানো হবে না। বড় অঙ্কের বাজেট ঘাটতি মেটানো ও ব্যয় সামাল দিতে বিদেশী সহায়তা ও ঋণ গ্রহণ করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বিড়ি ও সিগারেটের মতো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক পণ্যের ওপর কর ও ভ্যাট বাড়ানো। এছাড়া করোনার মতো ভাইরাসজনিত রোগবালাই মোকাবেলা ও সুচিকিৎসায় স্বাস্থ্য খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার কর্মসূচী নেয়া হবে আসন্ন বাজেটে। এসব বিনিয়োগে সহজশর্তের ঋণ ও দীর্ঘমেয়াদে কর অবকাশ সুবিধা প্রদান করা হবে। খাদ্যপণ্য আমদানি ও উৎপাদনে এবার কর ছাড় দেয়া হবে। করোনা সঙ্কট উত্তরণে গতানুগতিক পলিসি থেকে সরে এসে নীতিগত সহায়তা প্রদানের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আসবে ॥ আগামী বাজেটে করোনার আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের ১ কোটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হবে ১ লাখ কোটি টাকা, যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের কার্যক্রম বেগবান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্রের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করবে সরকার। একজন যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবেন বেকার। চলতি বাজেটে সাড়ে ৭৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আগামী পাঁচ বছরে এই বরাদ্দ দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এদিকে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বেগবান করতে উন্নত দেশের রোল মডেল অনুসরণ করবে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, সরকারের ২৩টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনমান উন্নয়নে ১৪৫টি কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চলতি বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এই বরাদ্দ আরও বাড়ানোর কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প-’২১ সালের মধ্যে দেশ থেকে চরম বা অতিদারিদ্র্য দূর করা হবে। এ কারণে প্রতিবছর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে।
দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ ॥ গত এক দশকের অর্থনৈতিক সাফল্যের ওপর ভর করে সরকার দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং অর্থনৈতিক সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করে। রূপকল্প-২০৪১ কে নীতিমালা এবং কর্মসূচীসহ একটি উন্নয়ন কৌশলে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে পরবর্তীতে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ প্রণয়ন করা হয় যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) কর্তৃক গত ২৫ অনুমোদিত হয়েছে। রূপকল্প-২১ এর ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-৪১ গ্রহণ করা হয়েছে। রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ গৃহীত হয়েছে যার প্রধান লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের অবসান। এবং ওই সময়ের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে উত্তরণ। দারিদ্র্য হবে অতীতের বিষয়। দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার ভিত্তিমূলে রয়েছে দুটি প্রধান লক্ষ্য। এগুলো হচ্ছে-২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ যেখানে বর্তমান মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। সোনার বাংলায় দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের বিষয়। এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নিরসন, ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা।
জানা গেছে, ২০৩১ সালে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ এর মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন। রফতানিমুখী ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের সঙ্গে শিল্পায়ন কাঠামোগত রূপান্তরকে ভবিষ্যতের দিকে চালিত করবে। কৃষিতে মৌলিক রূপান্তরের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে যা ভবিষ্যতের জন্য পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ভবিষ্যতের সেবা খাত গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিকে প্রাথমিকভাবে শিল্প ও একটি ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য সেতুবন্ধন রচনা করবে। একটি উচ্চ আয়ের অর্থনীতির দিকে অগ্রযাত্রা কৌশলের অপরিহার্য অংশ হবে নগরের বিস্তার। একটি অনুকূল পরিবেশের অপরিহার্য উপাদান হবে দক্ষ জ্বালানি ও অবকাঠমো যা দ্রুত দক্ষ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ আনুষঙ্গিক পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এছাড়া দক্ষতা নির্ভর সমাজ গঠনে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে প্রাথমিক উত্তরণের ভিত্তি স্থাপন করেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি হতে উত্তরণ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। এ পরিকল্পনায় দুটি মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এগুলো হলো ত্বরান্বিত সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি। কাউকে পেছনে ফেলা নয় এ স্লোগান সামনে রেখে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অঞ্চলকে চিহ্নিত করে লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ সঙ্কটের গুরুত্ব এবং প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
বাজেটে দশ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ॥ করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ১০ খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতকে। আবার বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার করার মতো কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে নতুন বাজেটে। জনসম্পৃক্ত ও জনস্বার্থে নেয়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশি বরাদ্দ পাওয়া খাতগুলো হচ্ছে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্যবিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুত বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়। চলতি বাজেটে মোট বাজেটের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে এই দশ খাতে। আগামী বাজেটেও এসব খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে।