সড়কপথ সম্প্রসারণের পাশাপাশি নৌপথ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অনেকদিন ধরেই দেশের নৌপথ কমে যাওয়া ও নৌ যোগাযোগ অবস্থার বেহাল চিত্র উঠে আসছিল গণমাধ্যমে। যার ধারাবাহিকতায় নৌপথ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ চলাচলের উপযোগী করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিগত ৬০ বছরে দেশের নৌপথ ছয় ভাগের এক ভাগে এসে নেমেছে। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে নৌপথ রক্ষায় যে কোন রকম নজর দেয়া হয়নি এই পরিসংখ্যানই বড় প্রমাণ।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে দুই দেশের নৌ প্রটোকলভুক্ত ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় কালনি ও কুশিয়ারা নদীর আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ নৌপথের ২৮৫ কিলোমিটার এবং যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়ার ১৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্ষাকালে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার। শুষ্ক মৌসুমে এটি ৬ হাজার কিলোমিটারে নেমে আসে। নৌযান যাতে বাধাহীনভাবে চলাচল করতে পারে সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ৩৯টি নৌযান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় যাতায়াত ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হভার ক্র্যাফ্ট সংগ্রহ করা হবে।
সম্প্রতি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদে বলেন, সরকার নৌপথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে গোটা নৌ যোগাযোগ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ১৯৬০ সালের আগে দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের অযত্ন, অবহেলা এবং নদীকে অবজ্ঞা, যথাযথ পরিকল্পনা এবং তদারকির অভাব ও প্রকৃতির পরিবর্তনে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার কিলোমিটারে নেমে আসে।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলে সমুদ্রগামী ছয়টি বড় জাহাজ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাঙ্কার, দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাঙ্কার ও কয়লা পরিবহন উপযোগী দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার। এছাড়া সমুদ্রগামী আরও চারটি নতুন সেলুলার কন্টেনার জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে
২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। প্রায় ১২ বছর ধরেই দেশের বেহাল নৌপথের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাস্তবায়নের গতি মন্থর হলেও আগের সরকারগুলোর চেয়ে নদীপথ রক্ষার উদ্যোগ যে বেড়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। যার ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দশ বছরে এক হাজার ৬০০ কিমি নৌপথ খনন করেছে। এর ফলে বর্তমানে নৌপথ দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৬০০ কিলোমিটারে। সারাদেশের আরও ১৭৮টি নদীর ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর তীর থেকে প্রায় ১২ হাজার ৩৯৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৩৭২ দশমিক ১২ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরভূমি থেকে প্রায় দুই হাজার ৭৭৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১৯৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
উচ্ছেদের পর পুনর্দখল রোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয়তীরে ওয়াকওয়ে, আরসিসি স্টেপস, বসার বেঞ্চ, ইকোপার্ক নির্মাণ, নদীর পাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বাজেট ৫০ হাজার কোটি টাকা ॥ দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্য বাড়ানোর খসড়া মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ২০২৫ সালের মধ্যে এ কর্মযজ্ঞ শেষ করতে চায় সংস্থাটি। প্রকল্পের খসড়া পরিকল্পনায় প্রাধান্য পেয়েছে হাওর, পার্বত্য ও দক্ষিণাঞ্চলের ৮০টি নদ-নদী। এর মধ্যে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে রয়েছে অর্ধশত নদী খনন। এ কর্মযজ্ঞে মোট ব্যয় হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। যদিও এত বিশাল নৌপথ খনন করার মতো সক্ষমতা ও জনবল এই মুহূর্তে সংস্থাটির নেই। এদিকে ড্রেজিং কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে তদারকিও বাড়িয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি নদী খননের আগে ও পরে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে রেকর্ড রাখা বাধ্যতামূলক করে একটি পরিপত্র জারি করেছে। এ পরিপত্রে নদী খননে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ১৬ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ আশা করছে, এ বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে নৌপথেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা যাবে। পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে সেচ সুবিধা ও মাছচাষ অনেকগুণ বেড়ে যাবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
সংস্থাটির ড্রেজিং বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সংস্থাটির তিনটি প্রকল্প চলমান আছে। এগুলোর আওতায় তিন হাজার ৩১৫ কিলোমিটার নদী খনন কাজ চলছে। আরও দুটি মেগা প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। শীঘ্রই এ দুটি প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৩৯৩ কিলোমিটার খনন শুরু হবে। বাকিগুলো খননে নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। নতুন-পুরাতন সব প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারের দুটি পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমত, ঢাকার চারপাশের নদী বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী দখল ও দূষণমুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করা। দ্বিতীয়ত, ১০ হাজার কিলোমিটার নদী খনন করা। এ দুটি পরিকল্পনা সামনে রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া ঢাকার চারপাশের নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ এই চার নদীর যেখানে নাব্য সঙ্কট রয়েছে সেখানে খনন, বর্জ্য উত্তোলন, নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, যেসব স্থানে নদীর প্রশস্ততা কম সেখানে তা বাড়ানো হবে। অপরদিকে আরেকটি মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, ১৭৮টি নদীর ১০ হাজার কিলোমিটার খনন করবে বিআইডব্লিউটিএ।
এছাড়াও বন্দরগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সামনে অর্থায়ন, জনবল ও সক্ষমতাসহ নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে তা বাস্তবায়ন করা একেবারে অসম্ভব, তা বলা যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে দেশে বর্ষাকালে নৌপথের পরিমাণ ছয় হাজার কিলোমিটার। শুষ্ক মৌসুমে তা কমে দাঁড়ায় চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার কিলোমিটারে। তারা জানান, গত ১০ বছরে সবমিলিয়ে দেড় হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আর আগামী পাঁচ বছরে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করার মতো সক্ষমতা নেই।
এর কারণ প্রসঙ্গে তারা জানান, এসব নদী খননে সংস্থার যে জনবল ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা নেই। বর্তমানে সংস্থাটির বহরে ৩৫টি ড্রেজার রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি প্রায়ই নষ্ট থাকে। আরও ৪৫টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হচ্ছে। বহরে থাকা ৩৫টি ড্রেজারে প্রয়োজনের তুলনায় ৩০/৪০ শতাংশ জনবল কম রয়েছে। ফলে এসব ড্রেজার দিয়ে কাক্সিক্ষত পরিমাণ পলি অপসারণ করা যায় না। অপরদিকে প্রতিবছর নদী রক্ষণাবেক্ষণে এক কোটি থেকে এক কোটি ২০ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করতে হয় সংস্থাটিকে। ফলে বেসরকারী খাতের ড্রেজারের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, আমরা চাই দেশে নৌপথ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হোক। কিন্তু নানামুখী জটিলতার কারণে নৌপথ সম্প্রসারণ হচ্ছে না। উল্টো প্রতিবছর নৌপথ কমছে। বন্ধ হচ্ছে পুরনো নৌ রুটগুলো। যাত্রী কম হওয়ার কারণে কমছে যান চলাচলও। বিশ্বের অন্যান্য দেশে দেখা যায় নিরাপদ যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে কৃত্রিম নৌপথ করা হয়। আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে বিশাল নৌপথ রয়েছে। বর্ষায় হাওরের সাত জেলা মিলিয়ে নৌপথ আরও বাড়ে। অথচ তদারকি আর সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে বিশাল নৌপথকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের খসড়া কর্মপরিকল্পনায় দেখা গেছে, উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে এক হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথ খনন) প্রকল্পের আওতায় ২৪টি নদী খননের কাজ চলছে। এর আওতায় দুই হাজার ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথ উন্নয়নে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি নদীর ৬৩৫ কিলোমিটার ও ৯৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মংলা থেকে চাঁদপুর হয়ে রূপপুর পর্যন্ত নৌপথ খনন কাজ চলছে। বাকি নৌপথ সরকারের এ মেয়াদে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ধরা হয়েছে।
আরও দেখা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় চট্টগ্রাম থেকে আশুগঞ্জ হয়ে বরিশাল পর্যন্ত ৯৬০ কিলোমিটার নৌপথ উন্নয়নে খনন কাজ আগামী বছর শুরু হবে। এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা- এই চার নদীর ৪৯৩ কিলোমিটার খননে চার হাজার ৩৭১ কোটি টাকার প্রকল্প কয়েক মাস আগে অনুমোদন পেয়েছে। এটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন মাস। এ ছাড়া গোমতী নদীর ৯৫ কিলোমিটার খননে ৭৯৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঝিনাই, ঘাঘট, বংশী ও নাগদা নদী খনন ও বন্যা ব্যবস্থপনায় চার হাজার ৮১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। এটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে চলতি বছর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
আরও দেখা গেছে, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও রাঙ্গামাটি-থেগামুখ পর্যন্ত ২৫২ কিলোমিটার নৌপথ খনন ও পুনরুদ্ধারে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এসব নদী খননে এক হাজার ৩১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য তিন জেলার ১২টি নদীর ৭০০ কিলোমিটার খননে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এ ১২টি নদী খননে চার হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে। খুলনা বিভাগের ১২টি নদীর ৬৫০ কিলোমিটার খনন, রক্ষণাবেক্ষণ, বন্দর অবকাঠামো নির্মাণে সাত হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয় ধরে ডিপিপি প্রস্তুতের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগের ৩১টি নদী খনন, রক্ষণাবেক্ষণ, বন্দর অবকাঠামো নির্মাণে ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে আরেকটি ডিপিপি প্রস্তুতে পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। এর বাইরে আগামী অর্থবছরে আরও ৪৭টি নদী খননের জন্য সমীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
নদী ড্রেজিংয়ে স্বচ্ছতা রাখতে ১৬ নির্দেশনা ॥ সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নদী খননে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে। নৌ পরিবহন সচিব আবদুস সামাদ স্বাক্ষতির পরিপত্রে বলা হয়েছে, নদী খননের পলি কোনভাবেই নদীতে ফেলা যাবে না। নদী খননের আগে ও খননের পরে যৌথ জরিপ করতে হবে, যাতে নির্ধারিত গভীরতা অর্জিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করা যায়। তীর ও ঢাল যথাযথ সংরক্ষণ করে নদীর তলদেশে সুষম খনন করতে হবে। যত্রতত্র খনন করা যাবে না। খননের পলি স্তূপাকারে রাখতে হবে যাতে তা নদীতে ধুয়ে নামতে না পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এ ছাড়া পরিপত্রে নদীর পলি ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।