শিশুদের নিরাপত্তা, সঠিক বিকাশ ও উন্নত জীবন গঠনের সুযোগ করে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

admin
অক্টোবর ৬, ২০২০ ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্ব শিশু অধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই বিশ্বকে আমরা এমনভাবে তৈরি করতে চাই, আমাদের শিশুরা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, চলতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে। আর শিক্ষা-দীক্ষায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,  শিশুরা নিরাপত্তা নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচবে। মানুষের মতো মানুষ হবে, সে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের জন্য এই পৃথিবীটা হয়ে উঠুক একটা নির্ভরযোগ্য, শান্তিপূর্ণ বাসযোগ্য স্থান। শিশুরাই তো জাতির ভবিষ্যৎ। সেই ভবিষ্যৎ বংশধরদেরকে মানুষের মতো মানুষ হিসাবে তৈরি করতে হবে। তাদের মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধি সবকিছু বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে। আর সেটা সম্ভব উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা, লেখাপড়া শেখার পরিবেশ, সুস্বাস্থ্য অধিকারের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং তার জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, একটা উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার মাধ্যমে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২০’র ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী

সরকার শিশুদের নিরাপত্তা ও বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কবি সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।’

প্রতিবন্ধীসহ সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিশুদের নানামুখী সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্কুল খুলতে পারছি না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। এটা বাচ্চাদের জন্য সত্যি খুব কষ্টের।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেছে। অত্যাচার নির্যাতন হলে যেন বিচার পায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি। শিশুদের বহুমুখী জ্ঞান বিকাশের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় সব আমরা করে দিচ্ছি যাতে বহুমুখী শিক্ষাতে আমাদের ছেলেমেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হয়। মনে রাখতে হবে। আমরা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলার প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে পৌঁছাক, সেটা আমরা চাই। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত হবে। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে।

অভিভাবকদের বাচ্চাদের পার্কে বা মাঠসহ বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোটাছুটি করা, খেলাধুলা  সেগুলো যেন তারা করতে পারে। তাদের স্বাস্থ্যের জন্য, তাদের মানসিক অবস্থার দিক থেকে এটা খুবই দরকার।’

অনুষ্ঠানে দুই শিশুর বক্তব্য শুনে তাদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবক, ছোট্ট সোনামণি ও শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান  প্রধানমন্ত্রী।