অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনে নিজের ছাপ রেখেছিলেন শেখ কামাল।ফুটবল, বাস্কেটবল, হকি খেলতেন। বাজাতেন সেতার। ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনীলিমিটেডের প্রতিষ্ঠাও তার হাত ধরে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে অনেক অবদান রাখা শেখ কামালেরনামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মিলনায়তনের নামকরণ করা হচ্ছে।
এনএসসির মিলনায়তনের নাম ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অডিটোরিয়াম’ করার সিদ্বান্ত হয়েছেমঙ্গলবারের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানরাসেল স্মরণ করেন খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসেবে শেখ কামালের অবদান।
“শহীদ শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, ১৯৭১–এর রণাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চির তারুণ্যের প্রতীক, মায়াবী আলোয় ভরাপ্রতিভাধর সরল প্রাণের একজন প্রাণোচ্ছ্বল মানুষ। তিনি বেড়ে উঠেছিলেন দেশপ্রেমকে বুকে ধারণকরে। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।”
“শেখ কামাল ছিলেন দেশের তরুণদের উজ্জ্বল প্রতিনিধি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তার জীবন প্রদীপনিভে যাওয়ার আগে দেশপ্রেম থেকে শুরু করে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সংগঠন পরিচালনার যে প্রতিভাএবং দক্ষতার পরিচয় তিনি রেখে গেছেন, তা শুধু আমাদের দেশের তরুণদের জন্যই নয়, পৃথিবীর যেকোনো দেশের, যে কোনো কালের তরুণ সমাজের অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের বড় ছেলে শেখকামালের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৫ অগাস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটেরআঘাতে পরিবারের আরও অনেকের সঙ্গে নিহন হন বঙ্গবন্ধু। ঝরে যায় শেখ কামালের জীবন।