রাজধানীর এলাকাভিত্তিক জনঘনত্বের ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ

admin
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১ ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীতে এলাকার জনঘনত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া ব্যবসায়ী শিল্পপতি নগর পরিকল্পনাবিদসহ স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং বেসরকারী আবাসন খাত সংশ্লিষ্টসহ অন্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইমলাম এমপি। বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এ্যাসোসিয়েশন (রিহ্যাব) ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস এ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল হক, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার এ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান, রুপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, বিএলডিএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএম এনামুল হক, বিএলডিএর কোষাধ্যক্ষ এবং ইউনাইটেড গ্রুপের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ, রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা প্র্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব নির্ধারণ করে জোনভিত্তিক ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে। শহরের কোন অঞ্চলে কত তলা বিল্ডিং হলে মানুষ সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং ঢাকা একটি বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরিত হবে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা ও স্কুল-কলেজ, শপিংমল, হেলথ সেন্টার, খেলাধুলার মাঠ, ওয়াটার বডি এবং সবুজায়নসহ অন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাই এলাকাভিত্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, গ্যাস, বিদ্যুতসহ অন্য ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ নির্ধারিত করা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, সব বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাতে একই রকম হোল্ডিং ট্যাক্স হওয়া ঠিক নয়। এ সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। তাই এটি নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। তিনি বলেন, গুলশানে বসবাস করলে আপনি কিছু বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারছেন, আপনি এ্যাফোর্ডেবল পারসন (সক্ষম ব্যক্তি)। গুলশানের ট্যাক্স রেট, পানির দাম, বিদ্যুতের দাম যাত্রাবাড়ীর দামের সমান কেন হবে? আপনি যদি এ্যাফোর্ডেবল পারসন হন তাহলে জাতির জন্য যে আপনার অবদান আছে সেটা রাখছেন? ভিন্ন ভিন্ন হার না হওয়াটাই বৈষম্য। যে এলাকাতে বেশি হওয়া দরকার সেখানে বেশি হবে।
ড্যাপ কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ড্যাপের মেয়াদকাল ২০৩৫ সাল। এখন ফেইজ বাই ফেইজ কাজ হবে। তিনি বলেন, আমি ড্যাপের আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকে মূল কাজটা করছি। সেটা হচ্ছে আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার আছেন এবং যারা অবদান রাখবেন তাদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মিটিং করছি। মিটিং করার পর আমরা মূল কাজে যেতে পারব। আমরা একটা নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে কোথায় কত তলা ভবন হলে ঢাকার মানুষের বসবাসের জন্য উপযোগী হবে।