পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সিভিএফ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণীত হচ্ছে। এই পরিকল্পনা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির সামগ্রিক পথ দেখাবে। তিনি বলেন, এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পটি সবুজ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান এবং কোভিড-১৯ সঙ্কট পরবর্তী প্রভাব মোকাবেলায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জিসিএ, সিভিএফ এবং ভি ২০ ব্রিফিং এ্যান্ড রিপোর্টিং সেশন উইথ দ্যা মিনিস্টার্স’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তার অফিসিয়াল বাসভবন হতে যোগদান করে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা বাংলাদেশের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই। তিনি বলেন, অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সরকার তার কর্মকা-ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বিশ্বব্যাপী এক রোল মডেল। এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশে ১১.৫ মিলিয়ন গাছ লাগিয়েছি। মন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সকল প্রধান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সফল হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ এ. কে. আবদুল মোমেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অভিযোজন সম্পর্কিত গ্লোবাল সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ প্যাট্রিক ভেরকুইজেন, বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা গ্রুপের সিভিএফ চেয়ারম্যান ড. সলিমুল হক, জিসিএ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ও সিভিএফের ফোকাল পয়েন্ট আহমদ শামীম আল রাজি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিসুর রহমান, সিভিএফ এবং ভি ২০ প্রোগ্রাম হেড ম্যাথিউ ম্যাককিনন বক্তব্য রাখেন।
সভায় দেশী ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, সিভিএফ, ভি ২০, জিসিএ এবং জলবায়ু কূটনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।