মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় এই সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্ত সম্মানী অপ্রতুল বলে মনে করে সংসদীয় কমিটি। মুক্তিযোদ্ধারা যেন আরেকটু সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী আট হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট বিশ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়।
এদিকে আগামী বিজয় দিবসের আগেই একাত্তরের রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করতে চায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় উপকমিটি। এই তালিকা তৈরিতে ইতিমধ্যে উপকমিটি কাজ শুরু করেছে।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এবং তালিকা তৈরি সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক শাজাহান খান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
গত বছরের ডিসেম্বরে একাত্তরের রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করেছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই তালিকায় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নামও ছিল। তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করে তালিকা প্রত্যাহার করে নেয়।
গত আগস্টে সংসদীয় কমিটি নতুন করে এই তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ জন্য একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। আজ এই উপকমিটির আহ্বায়ক শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে একটি বৈঠক করবেন। কিছু তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই আংশিক তালিকা প্রকাশ করা যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম তদন্তে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার আলাদা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাজাহান খানকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোসলেম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।