এবার গ্রাহকের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ডিপিডিসি) কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিটি তার গ্রাহককে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে এ সেবা প্রদান করবে। মূলত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ডিপিডিসি বিদ্যুৎ সেবাকে আরও সহজ করার লক্ষ্যেই ভ্রাম্যমাণ বিদ্যুৎ সেবা চালু করেছে। এ ছাড়া গ্রাহকের কাছে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও এ ভ্রাম্যমাণ সেবার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। গতকাল এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এটি চলবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ও ডিপিডিসি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান এর উদ্বোধন করেন। ভ্রাম্যমাণ এ সেবা দিতে রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তিনটি ভ্যান নামানো হয়েছে। সুসজ্জিত ভ্যানগুলো পর্যায়ক্রমে ডিপিডিসির ৩৬টি বিতরণ জোনের প্রতিটিতে এক দিন করে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ সেবা দেবে। গতকাল শ্যামলীর কিশলয় স্কুল মাঠ, শাহজাহানপুরের গাউছুল আজম জামে মসজিদ ও নারায়ণগঞ্জের চরকাশীপুরে ভ্রাম্যমাণ সেবা শুরু হয়। আগামীকাল ঢাকা উদ্যান উপকেন্দ্র সংলগ্ন রাস্তা, পল্টন মহিলা কলেজ ও গেন্ডারিয়া থানার পাশে সেবা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন তিনটি এলাকায় এ সেবা দেওয়া হবে। একটি ভ্যান একটি বিতরণ জোনে সেবা নিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় যাবে। এর ফলে গ্রাহকরা দ্রুত ও তৎক্ষণাৎ সেবা পাবেন। প্রাথমিকভাবে ১২ দিন এ সেবা দেওয়া হলেও ইতিবাচক সাড়া পেলে এর পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ভ্রাম্যমাণ সেবা সম্পর্কিত তথ্য গ্রাহকদের জানাতে পত্রিকাগুলোয় সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ জানান, বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ ভিআইপি স্থাপনাগুলোয় ডিপিডিসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর বাইরে পুরান ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এলাকাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। সেখানে বিদ্যুতের পুরনো লাইন মাথার ওপর দিয়ে চলে গেছে। এ থেকে যাতে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে গ্রাহকদের সচেতন করতেই এ ভ্রাম্যমাণ বিদ্যুৎ সেবা। একই সঙ্গে গ্রাহকদের কাছে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হবে। ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গ্রাহকের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ ভ্রাম্যমাণ উদ্যোগ। আমাদের ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগুলোয় ডিজিটাল ডিসপ্লে থাকবে। সেখানে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রচারিত হবে। এসব ভ্যানে ইন্টারনেট ও জেনারেটর সংযোগ, প্রিন্টার, টেবিল-চেয়ারও থাকবে। গ্রাহকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে পরে এ সেবা বৃদ্ধি করা হতে পারে।’