টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় প্রবীণ এবং নবীনের একটা মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় অনেক তরুণকে যেমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তেমনি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকেও জায়গা দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এবারের মন্ত্রিসভা নিয়ে নানা সমালোচনা যেমন হচ্ছে, তেমনি তরুণদের ভালো কাজ সম্ভাবনা এবং দুর্নীতি থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখার প্রবণতাটি সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এবং প্রশংসিত হচ্ছে।
১ বছর ১০ মাস বয়সী এই মন্ত্রিসভার কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রবীণদের থেকে তরুণরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের স্বাক্ষর রাখছে, কম বিতর্কিত হচ্ছে এবং ভালো কাজ করছেন। তরুণদের সম্ভাবনা আওয়ামী লীগকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করছে। মন্ত্রিসভায় অনেক হেভিওয়েট মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা যখন নানা রকম সমস্যার পড়ে সমালোচিত হচ্ছেন, সেই সময় তরুণ মন্ত্রীরা অনেক সম্ভাবনা জাগাচ্ছেন। অনেক সাহসী এবং ইতিবাচক ভূমিকায় কাজ করছেন। মন্ত্রিসভার তরুণ সদস্যদের মধ্যে-
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী: তিনি প্রথমবারের মতো নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি নৌ পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে নৌখাতের বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে ফেরিঘাটের সংকট নিরসনেও খালেদ মাহমুদ বুদ্ধিদীপ্ত এবং ভাল কাজ করেছেন বলেও সাধারণ মানুষ মনে করেন।
এনামুল হক শামীম: এনামুল হক শামীম আওয়ামী লীগের একজন উপমন্ত্রী হিসেবে তরুণ সম্ভাবনাময় নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি হিসেবেও ছাত্র রাজনীতিতে আলোচিত ছিলেন। প্রথমবারের মতো উপমন্ত্রী হলেও বিগত বন্যায় তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক: প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ক্রমশই মন্ত্রী হিসেবে নিজেকে তিনি মেলে ধরেছেন। বিশেষ করে করোনা সংকটের সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ যে সত্যি সত্যি বাস্তব রূপ নিয়েছে এটা প্রমাণের ক্ষেত্রে পলক অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে করোনার সময় ঘরে থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তাঁর উদ্ভাবনী ভূমিকাগুলো প্রশংসিত হয়েছে।
জাহিদ আহসান রাসেল: জাহিদ আহসান রাসেল প্রয়াত শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। সে হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগের একজন সম্ভাবনাময় তরুণ নেতা। এবার প্রথমবারের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হয়ে তিনি আলোচনায় এসেছেন। যুব সমাজের জন্য এবং বেকার যুবকদের বিভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে তিঁনি কাজ করে যাচ্ছেন, আশার আলো দেখাচ্ছেন। করোনার সময় বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তিঁনি প্রশংসিত হয়েছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনেকগুলো উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় কাজ তিনি করতে পেরেছেন।
ফরহাদ হোসেন: ফরহাদ হোসেন প্রথমবারের মতো প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েও তিনি ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন। এসময় প্রশাসনের ক্ষেত্রে যেসমস্ত বিতর্কগুলো হচ্ছে সে সমস্ত বিতর্কগুলো সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।