বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাঃ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

admin
নভেম্বর ২৬, ২০২০ ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ফাইল ছবি

কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ফাইল ছবি


আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। প্রতিমন্ত্রী বুধবার এক শোক বার্তায় ম্যারাডোনার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, ‘বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা। তিনি তার ফুটবল জাদুতে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধের মতো মোহিত করে রাখতেন। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ডিয়েগো ম্যারোডোনার লক্ষ কোটি ভক্ত সমর্থক রয়েছে।’

‘বিশ্ব ফুটবলের বরপুত্র খ্যাত এই কিংবদন্তি ফুটবলারের অকাল মৃত্যু বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তিনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল প্রেমীর হৃদয়ে।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ডিয়েগো ম্যারাডোনা শুধু একজন বিশ্বের সেরা ফুটবলারই ছিলেন না, একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক ও বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নিবেদিত একজন মহান মানবিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার কর্মময় জীবন বিশ্বের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিগ্রে-তে নিজ বাসায় মারা যান ম্যারাডোনা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। গত মাসে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। বুয়েনস এইরেসের হাসপাতালে তাঁর মস্তিষ্কে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে থাকা রক্ত (ক্লট) অপসারণ করা হয়েছিল।

তখন মাদকাসক্তি নিয়ে ভীষণ সমস্যায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা। তাঁকে পুনর্বাসনের জন্য তাঁকে নেওয়া হয়েছিল তিগ্রে-র একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেলে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। এই অসুস্থতা থেকে আর বেঁচে ফিরতে পারেননি কিংবদন্তি। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ও নিশ্চিত করেছে ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ হাতে ম্যারাডোনা ছবি: টুইটার

১৯৮৬ বিশ্বকাপ হাতে ম্যারাডোনা ছবি: টুইটার

আর্জেন্টিনোস জুনিয়রের হয়ে ১৬ বছর বয়সে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। জাদুকরি বাঁ পায়ে তিনি মাতিয়েছেন বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া ও নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাব। রেসিং, জিমনাশিয়া ছাড়াও আর্জেন্টিনা কোচের দায়িত্বে ছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে দ্বিতীয় বিশ্বকাপের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। সেই বিশ্বকাপের পরই প্রতিষ্ঠিত হয়ে ম্যারাডোনার অমরত্ব—ফুটবল মাঠে পা রাখা সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। বিশ্বকাপে শিরোপা জেতানো ছাড়াও ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির হয়ে স্মরণীয় মৌসুম উপহার দিয়েছেন ম্যারাডোনা। নাপোলিকে দুবার সিরি ‘আ’ ও উয়েফা কাপ জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা।

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া আমাদের কিংবদন্তি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। আপনি সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। কে সর্বকালের সেরা—এই প্রশ্নে পেলে ও ম্যারাডোনা নিয়ে বিভক্ত ফুটবল বিশ্ব। তবে ম্যারাডোনা অমর হয়ে আছেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে।