বিশ্বশান্তি রক্ষায় মডেল বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

admin
অক্টোবর ১৮, ২০২০ ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী . একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নিজ দেশে হিংসার শিকার হয়েছেন রোহিঙ্গারা। শুধু হিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ একটি মডেল তৈরি করেছে। যেটি জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) আয়োজিত ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুটি সম্পদ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- মানবসম্পদ ও পানি সম্পদ। কিন্তু আমরা দক্ষতার অভাবে এ দুই সম্পদকে কাজে লাগাতে পারছি না। যদি এ দুই সম্পদকে কাজে লাগানো যায় তাহলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের লেখক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সম্পদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা তাকে ধারণ করতে পারিনি। তবে আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বাঙালি পরিশ্রমী, মেধাবী। কিন্তু সেই মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। যুগোপযোগী গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র অল্প কয়েকবছর দেশকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু ঘাতকরা তাকে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। এরপর তার কন্যা শেখ হাসিনা পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন এবিএম আবু নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএফ ইমাম আলী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, বাংলাদেশ চা বোর্ডের যুগ্মসচিব ড. নাজনীন কাউসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রামে কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শহীদুল আলম প্রমুখ।