বিদেশে শ্রমিক পাঠানোয় সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ

admin
মে ১, ২০২১ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১৪ এপ্রিল থেকে বিদেশগামী ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এর ফলে বিদেশগামী শ্রমিকরা পড়েন বিপদে। অনেকের চাকরিতে যোগদানের সময় বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তাদের কথা বিবেচনা করে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে সরকার। যার সুবিধা নিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। গত এপ্রিল ১৮ থেকে ২৮ পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি শ্রমিক বিদেশে গেছেন। এই পরিস্থিতি গত বছরের ঠিক বিপরীত। গত বছর কোভিডের প্রথম ধাক্কায় বিদেশ থেকে বাংলাদেশিরা ফেরত এসেছিলেন কিন্তু যাননি। এবারে বিদেশগামীদের চেয়ে ফেরত আসার সংখ্যা অনেক কম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখন যেকোনও দেশ তাদের সীমান্ত বাংলাদেশের জন্য বন্ধ করে দিতে পারে। এটি যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা পাঠাতে থাকবো।
গত বছর এ সময়ের অবস্থা ঠিক উল্টো ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য দেশগুলো পাঠাতে চাইছিল এবং আমরা নিতে চাইছিলাম না। গত বছরে যাওয়াটা ছিল না কিন্তু লোক আসাটা আমরা ম্যানেজ করেছিলাম। এবারে আমরা যাওয়াটা ম্যানেজ করছি।তিনি বলেন, এবার আমরা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। ওইসব দেশে চাহিদা বাড়ছে। ভারত ও অন্যান্য দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। ফ্লাইট বন্ধ করে দিলে এই লোকগুলো যেতে পারতো না। সেজন্য আমরা একটি সুযোগ তৈরি করলাম। গত ১০ দিনে ৫০ হাজারের বেশি লোক যেতে পেরেছে।এই ১০ দিনে ৫১ হাজার ৬৬৮ শ্রমিক বিদেশে গেছেন। এরমধ্যে সৌদি আরবে গেছেন ১৭ হাজার ৫১৫ জন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন ১৮ হাজার ৯৪৮ জন। বাকিরা অন্যান্য দেশ যেমন বাহরাইন, কাতার, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কুয়েতে গেছেন।অনেকে বলে থাকেন আমরা লোক নিয়ে আসছি কিন্তু বিষয়টি সে রকম নয় বলেও তিনি জানান।গত কয়েক দিনে প্রায় আট হাজার লোক ফেরত এসেছে জানিয়ে সচিব বলেন, যারা ফেরত আসছেন তাদের জন্য কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রেও কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে। বর্তমানে ২,৪০০ জনের ব্যবস্থা আছে। যাদের দুই ডোজ টিকা নেওয়া আছে তাদের কোয়ারেন্টিনে না নিতে বলা আছে।