বাম্পার ফলনে হাসছে চাষি হলুদ তরমুজের লাল হাসি !!!

admin
মে ২৪, ২০২১ ২:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হলুদ তরমুজের বাম্পার ফলনে পরমানন্দের হাসি এখন কুমিল্লার চাষিদের মুখে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে তারা চাষ করছেন হলুদ তরমুজের। জমিতে সবুজের আস্তরণ। ফাঁকে ফাঁকে হলুদ তরমুজের অপরূপ হাতছানি।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে মাচায় চাষ করা এসব হলুদ তরমুজ যেমন সুস্বাদু, তেমন ফলনও বাম্পার। স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেনের এই হলুদ তরমুজ খেতের কথা এখন ওই এলাকার সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাচায় ঝুলে আছে গোলাকার হলুদ তরমুজ। ওপরের আবরণ হলুদ হলেও ভেতরটা কড়া লালবর্ণের। এ যেন হলুদ তরমুজের লাল হাসি। নতুন জাতের এই হলুদ তরমুজ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। রসালো এই তরমুজ খেতেও দারুণ সুস্বাদু। ফলনও বেশ ভালো। প্রথমবারের মতো উন্নত জাতের এই হলুদ তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষক আনোয়ার হোসেন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন সময়ের আলোকে জানান, ইউটিউব দেখে গত বছর ব্ল্যাক সিড জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। গত বছর কালো তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছিল। সে বারের ভালো ফলন কৃষক আনোয়ারকে আরও উৎসাহিত করে। তিনি এ বছর কালো তরমুজের পাশাপাশি চাষ করেন হলুদ তরমুজও।
কৃষক আনোয়ার জানান, দুই মাস আগে ৬৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেন। যার মধ্যে ৪৫ শতক জমিতে চাষ করেছেন কালো তরমুজ। বাকি ২০ শতক জমিতে চাষ করেন হলুদ তরমুজ। আনোয়ার বলেন, ৬৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মাসখানেক আগে থেকে বিক্রি শুরু করেছি। প্রথম সপ্তাহে এক লাখ টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করেছি। আশা করি অন্তত ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হবে। কুমিল্লা শহর থেকে হলুদ তরমুজ কিনতে এসেছেন কয়েকজন ক্রেতা। তারা জানান, অনেকটা শখের বশে দুটো করে ৬টি হলুদ তরমুজ কিনেছেন।
ক্রেতা আতিকুর রহমান বলেন, হলুদ তরমুজ কেটে দেখেছি। হলুদ তরমুজের ভেতরটা টকটকে লাল ও রসালো, খেতেও বেশ সুস্বাদু। বলারামপুরের বাসিন্দা কামাল হোসেন মজুমদার ও কাজী আরিফ জানান, আনোয়ার হলুদ তরমুজ চাষ করার পর প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষ আসছে হলুদ তরমুজ দেখতে। দর্শনার্থীরা আসছেনÑ দেখছেন। যাওয়ার সময় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আনোয়ার হোসেন গত বছর ইউটিউব দেখে কালো তরমুজ চাষ শুরু করেন। সে সময় তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা। এবারও তিনি হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তার দেখাদেখি ওই এলাকার কৃষকরা এখন উন্নত জাতের হলুদ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন। তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ওই কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।