বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

admin
অক্টোবর ৭, ২০২০ ৭:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বুধবার জাতিসংঘ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে প্রকাশিত এক বার্তায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

জেন্ডার সংবেদনশীল বিচার ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে ওই বার্তায় বলা হয়, ‘নারী অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে এবং পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে জেন্ডার সংবেদনশীল বিচার ব্যবস্থা প্রণয়ন, উন্নয়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পরিচালনার পদ্ধতিতে ব্যাপক পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ সব সময় প্রস্তুত।

একই সঙ্গে এসব ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজের পাশে জাতিসংঘ রয়েছে বলেও জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলো গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।

সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যা সামাজিক, আচরণগত ও কাঠামোগতভাবে বিদ্যমান নারী বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে। এটি আবারও প্রমাণ করে যে, এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং একটি পদ্ধতিগত সংস্কারের প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট অবস্থাকেই নির্দেশ করে।

নারীর সুরক্ষায় আইন ও কর্মপরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, সে সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই বলে জাতিসংঘ মনে করে।

এছাড়া ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সমর্থন ও সুরক্ষা প্রদান এবং বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনতে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জরুরি সংস্কারের পক্ষে জাতিসংঘ।

এতে আরও বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। দেখা যাচ্ছে, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে বেশি বিস্তৃত। কিন্তু অপরাধী অপরাধের তুলনায় কম সাজা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ তার সব অংশীদারের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করছে। এমন একটি সমাজ গঠনে জাতিসংঘ কাজ করছে, যেখানে নারীরা নিরাপদ বোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্ননের দিকে যাবে।