বস্তিবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। এ ডেস্কের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো, এলাকার ড্রেন পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সরবরাহসহ সমস্যা তাৎক্ষণিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে এ ধরনের বেশ কিছু জটিল সমস্যার সমাধান দেন। এ সময় ওয়ার্ডে বসবাসকারী বিভিন্ন বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের বাসিন্দারা তাদের সমস্যার কথা সরাসরি হেল্প ডেস্কে গিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে তুলে ধরেন। গতকাল কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া হয় এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন কাউন্সিলর। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য ‘হেল্প- ডেস্ক’ প্রক্রিয়া একবারেই নতুন পদ্ধতি। মাসের এক বা একাধিক একটি নির্দিষ্ট দিনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুধুমাত্র স্বল্প আয়ের মানুষদের সঙ্গে বসবেন এবং তাদের সমস্যা সমাধান করবেন। জাতীয়ভিত্তিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এবং সলিডারিটিস ইন্টারন্যাশনালের (এসআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘স্লাম-বেইজড্ সিটিজেন এ্যাকশন নেটওয়ার্ক (স্ক্যান)’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রক্রিয়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আটটি ওয়ার্ডে চালু হয়েছে। দাতা সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে। এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি বলেন, হেল্প-ডেস্ক প্রথাটি চালু হওয়ার ফলে দরিদ্র মানুষদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা সুযোগ পাওয়া যায়। তাদের অনেক সমস্যা আছে যা তারা কখনই সমাধান পাায় না। তাই এই হেল্প- ডেস্ক প্রথা চালু হওয়ায় তাদের যেমন সুবিধা হয়েছে, আমিও সাধারণ জনগণের সমস্যার কথা জানতে পারছি। রিকের প্রকল্প সমন্বয়কারী এসএমএ মুঈদ বলেন, নগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে বস্তিবাসীরা পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য অপসারণসহ সবধরনের নাগরিক সেবা চাহিদা অনুযায়ী পায় না। অন্যদিকে সেবাপ্রদানকারীরাও দরিদ্র মানুষদের প্রতি কিছুটা কম সহনশীল। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় নগর দরিদ্রদের সমস্যা জানানোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। আর এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ‘হেল্প-ডেস্ক’ প্রথা চালু করা হয়েছে। দুয়ারী পাড়া বস্তির বাসিন্দা সুমী হাসান বলেন, এই হেল্প-ডেস্ক চালু হওয়ার ফলে আমরা এখন আমাদের যেকোন সমস্যার কথা বলার একটা জায়গা পেয়েছি।