বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে মন্তব্য করে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) মহাপরিচালক অড্রে এ্যাজুলাই বলেছেন, জাতির পিতার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাষণে বৈশ্বিক মানবাধিকার ও মর্যাদার মূল্যবোধও প্রতিফলিত হয়েছে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
ইউনেস্কো প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এটা বাংলাদেশকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করেছে। একইসঙ্গে স্বাধীনতা, মানবাধিকার, মর্যাদা এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির মতো বৈশ্বিক মূল্যবোধের প্রতিফলনের কারণেও এটি তাৎপর্যপূর্ণ।
ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ভাষণটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পেয়েছে বলেও মন্তব্য করে সংস্থার মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরের বছরই ইউনেস্কোর সঙ্গে বাংলাদেশের যে সংযোগ তৈরি হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা এখনও রয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে। এই সহযোগিতা প্রথমত শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুর শিক্ষায়। এই সহযোগিতা ঐহিত্য সংরক্ষণেও।’
ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে বন্ধনের কারণে বাংলাদেশের পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন ও জামদানিসহ বিভিন্ন কিছু ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে, বলেন এ্যাজুলাই।
ইউনেস্কো মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশ্ব যখন একটি গভীর সঙ্কট মোকাবেলা করছে, তখন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সহেযাগিতা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বক্তব্যে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রচলনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এ্যাজুলাই বলেন, ‘আসুন আশাবাদী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করি, কেননা মানবতার জন্য সংগ্রাম অধিকার, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যও সংগ্রাম।’
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনের সপ্তম দিনে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।