ঢাকা: জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে কিডনি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন কর্নেল শওকত আলী। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) ভর্তি হন। বেশ কয়েদিন ধরে তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শোসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামি করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একসঙ্গে কারাবাস করার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশ এক প্রবীণ জননেতাকে হারালো, আমি হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল শওকত আলী শরীয়তপুর-২ আসন থেকে ৫ পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যার জনক। তিনি মুক্তিসংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা।