প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন
জানা গেছে, আমলাতান্ত্রিক কারণে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতর-ভাতায় বেশ ভোগান্তি হয়। সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিদ্যমান ব্যবস্থার ভোগান্তি লাঘব করতে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে গভর্নমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পদ্ধতিতে নতুন এ সুবিধা দেয়া হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সোজা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিগগিরই শিক্ষকদের বেতন-ভাতার টাকা ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে যাবে। তবে কবে নাগাদ এটি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।
ম্যানুয়াল পদ্ধতির ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে- বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বিল তৈরি করে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির প্রতিস্বাক্ষর নেয়া হয়, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর নিতে হয়, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসারের কার্যালয়ে দিতে হয়, বেতন বিল পাস করে ব্যাংকে পাঠানো হলে যাচাই করে শিক্ষকদের হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়। এরপর নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন শিক্ষকরা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রলাণয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের কেন্দ্রীয়ভাবে ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রাথমিকের শিক্ষকদেরও এ সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি কার্যক্রম ইএফটির মাধ্যমে চালু হলেও এ পদ্ধতি এখনো সব ক্ষেত্রে কার্যকর করা হচ্ছে না। তবে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বেতন-ভাতার মাধ্যমে সরাসরি অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করা নেয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন কাঠামোর ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা গ্রেড-১৪ এবং প্রশিক্ষণহীনরা গ্রেড-১৫ অনুযায়ী বেতন পেতেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর নির্দেশনাসহ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।