দেশের সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার কথা সরকার ভাবছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়াও, সাংবাদিকদের ঝুঁকি ভাতা ও পেনশনসহ আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ক্র্যাবের প্রয়াত সদস্যদের মরণোত্তর সম্মাননা ও সন্তানদের বৃত্তি দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম সাংবাদিকদের পেনশন দেয়ার প্রসঙ্গ তোলেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে চলে আসেন। প্রয়াত সাংবাদিকদের কেউ স্মরণ করে না। যখন কোন সাংবাদিক মারা যায়, তখন তার পরিবারটি চোখে অন্ধকার দেখে। তিনি সাংবাদিকদের পেনশনের ব্যবস্থা করতে পরিকল্পনামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের জন্য একটি কল্যাণ ট্রাস্ট রয়েছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। যারা রিপোর্টার তাদের জন্য আলাদা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনে সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সারাবিশ্বে একটি সম্মানজনক ও আলোচিত পেশা সাংবাদিকতা। আমরা সুষ্ঠু সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। সরকার নানাভাবে আপনাদের পাশে আছেন। ওয়েজবোর্ড ও কল্যাণ তহবিল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক পেশায় পেনশন প্রথা চালু রয়েছে। বাকিদের জন্য পেনশন সুবিধা দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এম এ মান্নান বলেন, সরকার সব ক্ষেত্রেই ব্যয় বাড়াচ্ছে, বিনিয়োগ করছে। তাই এক্ষেত্রেও আরও বিনিয়োগ হবে বলে আশা করছি। বিভিন্ন খাতে ঝুঁকি ভাতা এবং পেনশন চালু আছে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকতাকেও কিভাবে সেটি চালু করা যায় সেই বিষয়ে আমি চেষ্টা করব। ক্র্যাবের সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রয়াতদের স্মৃতিচারণ করেন ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের, এস এম আবুল হোসেন, সিনিয়র সদস্য গাফফার মাহমুদ। এছাড়াও ক্র্যাবের প্রয়াত সদস্য বশির আহমেদ এর ছেলে সালেহ, আরিফ রহমানের মেয়ে অহনা রহমান ও আসলাম রহমানের স্ত্রী ফাতেমা রহমান বক্তব্য দেন। ক্র্যাবের প্রয়াত ২০ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় অনুষ্ঠানে।