পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। দেশের পাট খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জাতীয় অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।এতে জানানো হয়, সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটচাষিদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছে। পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার জন্য ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০’, ‘পাট আইন ২০১৭’, ‘ জাতীয় পাটনীতি ২০১৮’, প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৪৩ দশমিক ৮৭ কোটি ডলার আয় করেছে। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
এতে আরো জানানো হয়, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য পাট অধিদপ্তরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাট চাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে পাটচাষিদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গুণগত মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ টন পাটবীজ বিনা মূল্যে বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।