সিটি নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রাম নগরীতে গড়ে তোলা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাবলয়। নগরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, সোয়াট, ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ১৮ হাজারের অধিক সদস্য। এর মধ্যে রয়েছেন ২৫ প্লাটুন করে বিজিবি ও র্যাব সদস্য। পুলিশ সদস্য ৯ হাজারের কাছাকাছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে রয়েছে দুটি করে মোবাইল টহল দল। প্রতি থানায় মোতায়েন করা হয়েছে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স। এছাড়া নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৯ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচন-পরবর্তী সংঘাত এড়াতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিজয় মিছিল সমাবেশ। সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নগরীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বহিরাগত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকবে তাদের জন্য নির্বাচন হবে আনন্দমুখর। নির্বাচনী পরিবেশ যারাই অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘৪১টি ওয়ার্ডে ৪১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। দুটি করে ওয়ার্ডের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বিজিবির সঙ্গে। গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে থাকবে ছয়জন পুলিশ, ১২ জন আনসার সদস্য। সাধারণ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে চারজন পুলিশ এবং ১২ জন আনসার সদস্য। ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে থেকে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। এই ফোর্স থাকবে ভোট গ্রহণের পরদিন পর্যন্ত।’
চসিক নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনগুলোতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে। পোস্টার ছেঁড়া, প্রচারে বাধা দেওয়া কিংবা পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতি দিনই একাধিক ওয়ার্ডে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা। এতে খুনের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় কমিশনে পড়েছে অনেক অভিযোগ। তাই আজ নির্বাচনের দিন সংঘাত এড়াতে কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনাও